ভোলার চরে তরমুজের বাম্পার ফলন, ব্যাপক লাভের আশা কৃষকদের

- আপডেট সময় ০৪:০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 32
ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলজুড়ে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশির হাওয়া বইছে কৃষকপাড়ায়। অনুকূল আবহাওয়া, উর্বর পলি মাটি এবং রোগবালাই কম থাকায় খরচ কমেছে, বেড়েছে লাভের সম্ভাবনা। চরের মাঠজুড়ে সবুজ পাতার নিচে লুকানো রসালো তরমুজে মুখে হাসি ফুটেছে চাষিদের।
সদর উপজেলার ভেলুমিয়ার রাবেয়ার চর, ভেদুরিয়ার চর চুটকিমারা, দৌলতখানের চর মুন্সি ও চর ভৈরাগীসহ জেলার সাত উপজেলায় এবারও তরমুজ চাষ হয়েছে ব্যাপকভাবে। বিগ ফ্যামিলি, থাই সুপার, ড্রাগন কিংসহ উন্নত জাতের তরমুজ চাষ করে দারুণ ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা।
রাবেয়ার চর থেকে আসা কৃষক মাহাবুব আলম জানান, নদীর পাড়ে অবস্থিত এসব চরে প্রতিবছর জোয়ার-ভাটায় জমি ঢেকে যায় এবং পরে পলি পড়ে উর্বর হয়ে ওঠে। এতে কম খরচে অধিক ফলন সম্ভব হয়। তিনি এবার তিন কানি জমিতে তরমুজ চাষ করে বেশ আশাবাদী।
চরফ্যাশনের কৃষক সাহাবুদ্দিন ফরাজি ৪০ একর জমিতে চাষ করেছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগে। ফলনে সন্তুষ্ট তিনি, আশা করছেন অন্তত ২৫-৩০ লাখ টাকা লাভ হবে। আরেক চাষি মনির হোসেন জানান, এবারের ফলন দেখে আগামী বছর আরও বেশি জমিতে চাষ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
দৌলতখানের চর মুন্সির কৃষক নাসিম ও আলাউদ্দিন জানান, তারা প্রতি বছরই এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। চরাঞ্চলে রোগবালাই কম হওয়ায় তারা বিগত বছরগুলোতে ভালো লাভ পেয়েছেন।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খাইরুল ইসলাম মল্লিক জানান, এবার জেলায় ১৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে চরফ্যাশনে সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর। তিনি বলেন, “কৃষকেরা এবার ভালো দাম পাবে, তাই আগ্রহ আরও বাড়বে।”
চরাঞ্চলের এই সাফল্য শুধু কৃষকদের নয়, দেশের অর্থনীতির জন্যও এক আশার বার্তা।