ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তিন এআই-এর লুকানো কথাবার্তা: বীপ-টোনের গোপন ভাষা! ইসরায়েল মাদলিন জাহাজ দখল করল: এরপর কী হবে? যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সচিবালয় ও যমুনা বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা ডিএমপির হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির শক্ত প্রতিশ্রুতি: ‘আমরা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / 53

ছবি: সংগৃহীত

 

অটোয়া, শুক্রবার: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রাজধানী অটোয়ার রিডো হলের বাইরে সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার হুমকি দিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে কার্নি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমরা কখনোই, কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না। আমরা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় পরিচয় রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর কার্নি আরও বলেন, কানাডা চায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে যথাযথ সম্মান এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করতে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সরকার যৌথভাবে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করবে।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হন কার্নি। দলের অভ্যন্তরীণ ভোটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন, যেখানে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট পান। লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্নির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে, কার্নির জন্য এটি একটি অনন্য রাজনৈতিক যাত্রা, কারণ তাঁর হাউস অব কমন্সে কোনো আসন নেই এবং এর আগে তিনি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই তিনি জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।

কানাডার অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চাপ বাড়ছে। বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক কানাডার অর্থনীতিকে সংকটে ফেলতে পারে। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, যদি এই শুল্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়, তবে কানাডা মন্দার দিকে ধাবিত হতে পারে।

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে কানাডার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া লাভজনক হবে।’ এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্নি কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ পাগলামি।’

এদিকে, দীর্ঘ প্রায় এক দশক দায়িত্ব পালনের পর জাস্টিন ট্রুডো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর বিদায়ের পর কানাডার নতুন নেতা হিসেবে কার্নির অভিষেক হলো, যিনি এখন দেশকে একটি নতুন পথের দিকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির শক্ত প্রতিশ্রুতি: ‘আমরা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না’

আপডেট সময় ১০:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

 

অটোয়া, শুক্রবার: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রাজধানী অটোয়ার রিডো হলের বাইরে সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার হুমকি দিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে কার্নি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমরা কখনোই, কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না। আমরা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় পরিচয় রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর কার্নি আরও বলেন, কানাডা চায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে যথাযথ সম্মান এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করতে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সরকার যৌথভাবে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করবে।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হন কার্নি। দলের অভ্যন্তরীণ ভোটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন, যেখানে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট পান। লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্নির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে, কার্নির জন্য এটি একটি অনন্য রাজনৈতিক যাত্রা, কারণ তাঁর হাউস অব কমন্সে কোনো আসন নেই এবং এর আগে তিনি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই তিনি জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।

কানাডার অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চাপ বাড়ছে। বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক কানাডার অর্থনীতিকে সংকটে ফেলতে পারে। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, যদি এই শুল্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়, তবে কানাডা মন্দার দিকে ধাবিত হতে পারে।

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে কানাডার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া লাভজনক হবে।’ এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্নি কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ পাগলামি।’

এদিকে, দীর্ঘ প্রায় এক দশক দায়িত্ব পালনের পর জাস্টিন ট্রুডো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর বিদায়ের পর কানাডার নতুন নেতা হিসেবে কার্নির অভিষেক হলো, যিনি এখন দেশকে একটি নতুন পথের দিকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।