ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি মো. ফোরকান উল্লাহ জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় নিরীক্ষকরা তা প্রকাশ করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইসিএবির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, অডিটরদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, কঠোর আইনি বাধা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের কারণে তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে পারেননি। বরং বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী খেলাপি ঋণ শনাক্ত ও রিপোর্ট করতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরাও তার বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে বলেন, বহুবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। তাদের ভাষায়, “কারো ঘাড়ে একাধিক মাথা ছিল না যে ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবে।” এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে লিখিতভাবে খেলাপি ঋণের হার নির্ধারণ করে দেওয়া হতো বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএফএসি-এর মানদণ্ড অনুসরণ করে কেবলমাত্র আইসিএবি তার পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে, যা একজন নিরীক্ষকের দক্ষতা ও পেশাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে শুধু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মাধ্যমেই নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের আইনগত স্বীকৃতি রয়েছে।

আইসিএবি আরও জানায়, আইএফএসি-এর স্টেটমেন্ট অব মেম্বারশিপ অবলিগেশনের প্রথম শর্ত হলো কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স। এই শর্ত পূরণে তারা দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র বোর্ড ও বিভাগ পরিচালনার মাধ্যমে নিরীক্ষা মান বজায় রাখছে। অথচ এই মৌলিক শর্ত পূরণ না করেই নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা অযৌক্তিক ও প্রশ্নবিদ্ধ।

এছাড়া, আইসিএবির রয়েছে স্বতন্ত্র এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ইনভেস্টিগেশন ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি, যারা নিরীক্ষা কার্যক্রমে পেশাগত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

সংগঠনটি আরও দাবি করে, আইএফএসি বা বিশ্বব্যাংকের ROSC রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে আইসিএবি এবং আইসিএমএবির যোগ্যতার স্পষ্ট পার্থক্য ধরা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি

আপডেট সময় ০৫:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি মো. ফোরকান উল্লাহ জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় নিরীক্ষকরা তা প্রকাশ করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইসিএবির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, অডিটরদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, কঠোর আইনি বাধা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের কারণে তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে পারেননি। বরং বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী খেলাপি ঋণ শনাক্ত ও রিপোর্ট করতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরাও তার বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে বলেন, বহুবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। তাদের ভাষায়, “কারো ঘাড়ে একাধিক মাথা ছিল না যে ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবে।” এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে লিখিতভাবে খেলাপি ঋণের হার নির্ধারণ করে দেওয়া হতো বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএফএসি-এর মানদণ্ড অনুসরণ করে কেবলমাত্র আইসিএবি তার পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে, যা একজন নিরীক্ষকের দক্ষতা ও পেশাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে শুধু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মাধ্যমেই নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের আইনগত স্বীকৃতি রয়েছে।

আইসিএবি আরও জানায়, আইএফএসি-এর স্টেটমেন্ট অব মেম্বারশিপ অবলিগেশনের প্রথম শর্ত হলো কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স। এই শর্ত পূরণে তারা দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র বোর্ড ও বিভাগ পরিচালনার মাধ্যমে নিরীক্ষা মান বজায় রাখছে। অথচ এই মৌলিক শর্ত পূরণ না করেই নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা অযৌক্তিক ও প্রশ্নবিদ্ধ।

এছাড়া, আইসিএবির রয়েছে স্বতন্ত্র এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ইনভেস্টিগেশন ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি, যারা নিরীক্ষা কার্যক্রমে পেশাগত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

সংগঠনটি আরও দাবি করে, আইএফএসি বা বিশ্বব্যাংকের ROSC রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে আইসিএবি এবং আইসিএমএবির যোগ্যতার স্পষ্ট পার্থক্য ধরা সম্ভব।