ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে পরিবর্তন: রাজনৈতিক দলকেও শাস্তির আওতায় আনা যাবে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এই সংশোধনী অনুযায়ী, এখন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চাইলে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন কিংবা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি দিতে পারবে।

গতকাল শনিবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের আইনি ক্ষমতা আরও বিস্তৃত হলো।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম রোববার বলেন, “এই সংশোধনের মাধ্যমে সংগঠনের বিরুদ্ধেও বিচার ও শাস্তির বিধান যুক্ত হওয়া অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। অন্যান্য আইনেও এমন বিধান থাকলেও আন্তর্জাতিক মানের এই ট্রাইব্যুনালে সংগঠন বা গোষ্ঠীর বিচার হলে তা দেশের মানুষ আরও বেশি গ্রহণ করবে।”

জানা গেছে, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় সংশোধনী প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়। একই সভায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যকর হবে, যার মধ্যে সাইবার স্পেসে দলটির কর্মকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এছাড়াও সভায় জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি, জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশের দিকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সংগঠন যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২) ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করে বা সহায়তা করে, তবে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই সঙ্গে তাদের নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল, সম্পত্তি জব্দ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

আইনে ‘সংগঠন’ শব্দের পরিসরও নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আওতায় শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দলের অধীনস্থ বা সংশ্লিষ্ট কোনো অঙ্গসংগঠন ও গোষ্ঠীকেও বোঝানো হবে।

এই আইনি পরিবর্তন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক ন্যায়বিচারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে পরিবর্তন: রাজনৈতিক দলকেও শাস্তির আওতায় আনা যাবে

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এই সংশোধনী অনুযায়ী, এখন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চাইলে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন কিংবা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি দিতে পারবে।

গতকাল শনিবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের আইনি ক্ষমতা আরও বিস্তৃত হলো।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম রোববার বলেন, “এই সংশোধনের মাধ্যমে সংগঠনের বিরুদ্ধেও বিচার ও শাস্তির বিধান যুক্ত হওয়া অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। অন্যান্য আইনেও এমন বিধান থাকলেও আন্তর্জাতিক মানের এই ট্রাইব্যুনালে সংগঠন বা গোষ্ঠীর বিচার হলে তা দেশের মানুষ আরও বেশি গ্রহণ করবে।”

জানা গেছে, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় সংশোধনী প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়। একই সভায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যকর হবে, যার মধ্যে সাইবার স্পেসে দলটির কর্মকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এছাড়াও সভায় জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি, জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশের দিকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সংগঠন যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২) ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করে বা সহায়তা করে, তবে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই সঙ্গে তাদের নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল, সম্পত্তি জব্দ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

আইনে ‘সংগঠন’ শব্দের পরিসরও নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আওতায় শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দলের অধীনস্থ বা সংশ্লিষ্ট কোনো অঙ্গসংগঠন ও গোষ্ঠীকেও বোঝানো হবে।

এই আইনি পরিবর্তন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক ন্যায়বিচারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।