মার্কিন বাজেট ঘাটতি রেকর্ড পর্যায়ে, ইলন মাস্কের ‘DOGE’ কতটা সফল?

- আপডেট সময় ১২:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 23
মার্কিন অর্থনীতি আরও একটি কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে বাজেট ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে চলেছে। চলতি ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১.১৪৭ ট্রিলিয়ন ডলারে! শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি হয়েছে ৩০৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪% বেশি।
সরকারি ব্যয় কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙা করতে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে গঠিত Department of Government Efficiency (DOGE) আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, এ উদ্যোগ আসলেই কতটা কার্যকর?
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে DOGE প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সরকারি ব্যয়ের “অপ্রয়োজনীয় মেদ” ঝরানোর লক্ষ্যে। ইলন মাস্কের মতো উদ্যোক্তাকে এর নেতৃত্বে বসানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ঠিক যেমন তিনি স্পেসএক্স বা টেসলার মতো কোম্পানিতে খরচ কমিয়ে উদ্ভাবনী সাফল্য এনেছেন।
কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনা ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। বিশাল সামরিক বাজেট, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির ব্যয় কমানো সহজ কাজ নয়। বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রশাসনকে আরও দক্ষ করার চেষ্টা করা হলেও, তাৎক্ষণিকভাবে বাজেট ঘাটতির ওপর এর কোনো বড় প্রভাব পড়ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন সরকারের ব্যয় হ্রাসের চেয়ে রাজস্ব আদায়ের হার কম থাকাই বাজেট ঘাটতির অন্যতম কারণ। করনীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
তবে ইলন মাস্ক ও তার DOGE উদ্যোগ কতটা সফল হবে, সেটি এখনো সময়ের হাতে। সরকারি ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি নতুন রাজস্ব উত্স তৈরি করাই হতে পারে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলার মূল চাবিকাঠি। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কি এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে, নাকি বাজেট ঘাটতি আরও গভীর হবে এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী মাসগুলিতে।