নারীর কাজের সুযোগ বৃদ্ধিতে সরকারের নীতি ও কার্যক্রম

- আপডেট সময় ১২:১২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
- / 39
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও দক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীরা বাংলাদেশের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটি আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।”
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস জানান, “৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।”
তিনি আরও বলেন, “গত জুলাই-আগস্টে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল, তাতে নারীরা সম্মুখ সারিতে ছিল। লাখ লাখ ছাত্রী দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন এবং অনেক নারী এই আন্দোলনে শাহাদত বরণ করেছেন। আমি তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।”
প্রফেসর ইউনূস উল্লেখ করেন, “দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, যারা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।”
তিনি বলেন, “নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা প্রদানকারী ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরছেন। নারীর অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”