ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 58

ছবি: সংগৃহীত

 

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা পড়েছে এবং তা অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

রাজনৈতিক মহল এবং বিশেষজ্ঞরা এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। কেউ এটিকে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ সংশয় প্রকাশ করছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার নিয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা। অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী হস্তক্ষেপ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের একীভূত হওয়া এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাই আজ সময়ের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপের পর থেকে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপিসহ কিছু দল দাবি করছে, তারা বহু আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে তাতে মৌলিক পার্থক্য নেই। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে না, বরং সীমিত সংস্কারের পরেই নির্বাচন দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব? অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এমন একটি রূপরেখা তৈরি করা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সরকার ইতোমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ না হয়।

আগের সংলাপগুলো সংক্ষিপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল যে তারা পর্যাপ্ত মতামত জানাতে পারেনি। এবার সেই ভুল না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে এটাই এখন জনগণের প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় ১১:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা পড়েছে এবং তা অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

রাজনৈতিক মহল এবং বিশেষজ্ঞরা এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। কেউ এটিকে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ সংশয় প্রকাশ করছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার নিয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা। অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী হস্তক্ষেপ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের একীভূত হওয়া এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাই আজ সময়ের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপের পর থেকে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপিসহ কিছু দল দাবি করছে, তারা বহু আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে তাতে মৌলিক পার্থক্য নেই। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে না, বরং সীমিত সংস্কারের পরেই নির্বাচন দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব? অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এমন একটি রূপরেখা তৈরি করা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সরকার ইতোমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ না হয়।

আগের সংলাপগুলো সংক্ষিপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল যে তারা পর্যাপ্ত মতামত জানাতে পারেনি। এবার সেই ভুল না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে এটাই এখন জনগণের প্রত্যাশা।