ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন চলছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ৩০ দলের অংশগ্রহণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু কাল থেকে শুরু হজের আনুষ্ঠানিকতা প্রস্তুতি সৌদি আরবের ঈদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা, পুলিশের ছুটি বাতিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে: র‍্যাব ‘ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজম রয়ে গেছে: জামায়াত আমির বাজেটে কালো টাকায় বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধের আহ্বান সিপিডির সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে সুখবর, বাড়ছে বিশেষ প্রণোদনা জাবালিয়ায় বিস্ফোরণে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত দুই জাতীয় সনদে সর্বসম্মতি প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত হবে: অধ্যাপক আলী রিয়াজ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় বাধা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন: ডিএনসিসি প্রশাসক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, দেশের পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।

শনিবার (৩১ মে) সকালে পরিবেশ অধিদফতরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ম্যানিফিয়েস্টো টক: ইয়ুথ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রশাসক এজাজ বলেন, “গত দুই দশকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দেশের পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিবেশ ধ্বংসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। যে কেউ অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই তাকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হতো, অনেক সময় তুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্তচক্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এখনো তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। “এগুলো পুরনো দুর্বৃত্তচক্রেরই কাজ,” বলেন তিনি।

সম্প্রতি রাজধানীতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৫৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হলেও রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার তেমন প্রভাব পড়েনি। এটি ডিএনসিসির সাফল্যের একটি বড় প্রমাণ।”

এই প্রসঙ্গে ধানমন্ডি এলাকার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে এবার হাসিনার নৌকা চলতে দেইনি।”

তিনি জানান, সঠিক পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে নগর ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে, যা আরও বিস্তৃতভাবে বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা, পরিবেশবাদী কর্মী, ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। আলোচনায় উঠে আসে তরুণদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, এবং টেকসই শহর গঠনের পথনির্দেশনা।

ডিএনসিসি প্রশাসকের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, দুর্নীতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে পরিবেশ রক্ষায় নীতিনির্ধারণী ও বাস্তব পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এই চক্র ভেঙে একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও টেকসই শহর গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জরুরি বলে মত দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় বাধা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন: ডিএনসিসি প্রশাসক

আপডেট সময় ০৪:৪২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, দেশের পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।

শনিবার (৩১ মে) সকালে পরিবেশ অধিদফতরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ম্যানিফিয়েস্টো টক: ইয়ুথ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রশাসক এজাজ বলেন, “গত দুই দশকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দেশের পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিবেশ ধ্বংসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। যে কেউ অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই তাকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হতো, অনেক সময় তুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্তচক্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এখনো তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। “এগুলো পুরনো দুর্বৃত্তচক্রেরই কাজ,” বলেন তিনি।

সম্প্রতি রাজধানীতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৫৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হলেও রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার তেমন প্রভাব পড়েনি। এটি ডিএনসিসির সাফল্যের একটি বড় প্রমাণ।”

এই প্রসঙ্গে ধানমন্ডি এলাকার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে এবার হাসিনার নৌকা চলতে দেইনি।”

তিনি জানান, সঠিক পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে নগর ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে, যা আরও বিস্তৃতভাবে বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা, পরিবেশবাদী কর্মী, ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। আলোচনায় উঠে আসে তরুণদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, এবং টেকসই শহর গঠনের পথনির্দেশনা।

ডিএনসিসি প্রশাসকের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, দুর্নীতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে পরিবেশ রক্ষায় নীতিনির্ধারণী ও বাস্তব পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এই চক্র ভেঙে একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও টেকসই শহর গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জরুরি বলে মত দেন তিনি।