ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে চীন সরকার ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সহায়তা দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

তিনি জানান, চীন সরকার ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। এই দুটি হাসপাতাল দেশের মানুষের চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশে চীনের এই পদক্ষেপ এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হতে পারে। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চীনের জন্য একটি বড় বাজার তৈরি হতে পারে।”

এসময় তিনি আরও জানান, সদ্য চীন সফর করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর সফল হয়েছে বলে চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ সহজেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবে। ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে নীতিগত আলোচনা শুরু হয়েছে।”

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়। চীনের ইউনান প্রদেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, শিক্ষা পদ্ধতি ও চিকিৎসা প্রশিক্ষণের নানা বিষয় উঠে আসে।

বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীন সরকারের এই সহায়তা ও আগ্রহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে চীন সরকার ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সহায়তা দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

তিনি জানান, চীন সরকার ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। এই দুটি হাসপাতাল দেশের মানুষের চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশে চীনের এই পদক্ষেপ এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হতে পারে। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চীনের জন্য একটি বড় বাজার তৈরি হতে পারে।”

এসময় তিনি আরও জানান, সদ্য চীন সফর করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর সফল হয়েছে বলে চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ সহজেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবে। ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে নীতিগত আলোচনা শুরু হয়েছে।”

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়। চীনের ইউনান প্রদেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, শিক্ষা পদ্ধতি ও চিকিৎসা প্রশিক্ষণের নানা বিষয় উঠে আসে।

বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীন সরকারের এই সহায়তা ও আগ্রহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।