ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের

দেশ থেকে অশুভ বিদায় নিয়েছে, বাকিটাও শিগগিরই যাবে: প্রেস সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর রমনার বটমূলে আজ সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ছায়ানট আয়োজিত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। নানা বর্ণের পোশাক ও সাংস্কৃতিক আবহে উদযাপিত এ উৎসব যেন পরিণত হয়েছে বাঙালির প্রাণের মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অংশ নিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ এখন বদলে গেছে। অশুভ অনেকটাই পেছনে ফেলে এসেছে দেশ। যে অল্প কিছু নেতিবাচকতা রয়ে গেছে, তা-ও শীঘ্রই বিদায় নেবে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশ শুধু একটি ধারণা নয়, এটি এখন বাস্তব। উন্নয়নের ধারায় দেশ এগিয়ে চলেছে আত্মবিশ্বাসের সাথে। আমরা চাই, এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। দেশ থেকে জরা, ক্লান্তি আর নেতিবাচকতা চিরতরে দূর হোক।”

নববর্ষের উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই উৎসব আর কেবল সংস্কৃতির অনুষঙ্গ নয়, এটি আজ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সকল মত ও পথের মানুষ এই দিনে একত্রিত হয়, হাসে, গায়, আবেগে জড়ায়। এটি আমাদের জাতিগত সংহতির বার্তা দেয়।”

তিনি নববর্ষের প্রভাতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা একটি সুখী, শান্তিপূর্ণ ও অগ্রসর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ চলছে। উন্নয়নের এই যাত্রায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।”

অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত দর্শনার্থীরা জানান, রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজনে অংশ নেওয়া মানেই হচ্ছে আত্মিক প্রশান্তি খোঁজা ও ঐতিহ্যের সাথে সংযুক্ত হওয়া। সকাল থেকে ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় মুখরিত হয় পুরো পরিবেশ।

ছায়ানটের আয়োজকরা জানান, বরাবরের মতো এবারও নববর্ষকে কেন্দ্র করে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রধান উপজীব্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

রমনার ছায়ানটের মঞ্চ যেন প্রতিটি বছরই বাঙালির আত্মপরিচয়ের একটি গর্বিত প্রকাশ হয়ে ওঠে। এবারের আয়োজনেও তাই ছিল আশাবাদী বার্তা নতুন বছরে অশুভের অবসান ঘটবে, বাংলাদেশ আরও আলোকিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশ থেকে অশুভ বিদায় নিয়েছে, বাকিটাও শিগগিরই যাবে: প্রেস সচিব

আপডেট সময় ০৩:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

রাজধানীর রমনার বটমূলে আজ সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ছায়ানট আয়োজিত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। নানা বর্ণের পোশাক ও সাংস্কৃতিক আবহে উদযাপিত এ উৎসব যেন পরিণত হয়েছে বাঙালির প্রাণের মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অংশ নিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ এখন বদলে গেছে। অশুভ অনেকটাই পেছনে ফেলে এসেছে দেশ। যে অল্প কিছু নেতিবাচকতা রয়ে গেছে, তা-ও শীঘ্রই বিদায় নেবে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশ শুধু একটি ধারণা নয়, এটি এখন বাস্তব। উন্নয়নের ধারায় দেশ এগিয়ে চলেছে আত্মবিশ্বাসের সাথে। আমরা চাই, এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। দেশ থেকে জরা, ক্লান্তি আর নেতিবাচকতা চিরতরে দূর হোক।”

নববর্ষের উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই উৎসব আর কেবল সংস্কৃতির অনুষঙ্গ নয়, এটি আজ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সকল মত ও পথের মানুষ এই দিনে একত্রিত হয়, হাসে, গায়, আবেগে জড়ায়। এটি আমাদের জাতিগত সংহতির বার্তা দেয়।”

তিনি নববর্ষের প্রভাতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা একটি সুখী, শান্তিপূর্ণ ও অগ্রসর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ চলছে। উন্নয়নের এই যাত্রায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।”

অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত দর্শনার্থীরা জানান, রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজনে অংশ নেওয়া মানেই হচ্ছে আত্মিক প্রশান্তি খোঁজা ও ঐতিহ্যের সাথে সংযুক্ত হওয়া। সকাল থেকে ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় মুখরিত হয় পুরো পরিবেশ।

ছায়ানটের আয়োজকরা জানান, বরাবরের মতো এবারও নববর্ষকে কেন্দ্র করে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রধান উপজীব্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

রমনার ছায়ানটের মঞ্চ যেন প্রতিটি বছরই বাঙালির আত্মপরিচয়ের একটি গর্বিত প্রকাশ হয়ে ওঠে। এবারের আয়োজনেও তাই ছিল আশাবাদী বার্তা নতুন বছরে অশুভের অবসান ঘটবে, বাংলাদেশ আরও আলোকিত হবে।