কোনো নির্দিষ্ট মহলের এজেন্ডা সরকারের পরিকল্পনার অংশ হওয়া উচিত নয়: মির্জা ফখরুল

- আপডেট সময় ০৬:০২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 41
রাজনৈতিক পক্ষপাত ও গোপন এজেন্ডার শঙ্কায় দেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে এবং কোনো গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার যেন না হয়।
শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের কিছু উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের ব্যবহার ও কিছু আচরণ এরই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত।’
তিনি জানান, নির্বাচন আগে না সংস্কার আগে এই বিতর্ক এখন অর্থহীন। ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা নির্বাচন ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের সাথে একযোগে এগোতে পারে।’ তার মতে, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি “সংস্কার সনদ” প্রণয়ন করে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়নই হবে উত্তম পথ।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘স্প্রেডশিটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ গোপন রাখা হয়েছে। পুরো প্রতিবেদন যেখানে ১২৩টি সুপারিশে ভরপুর, সেখানে মাত্র ৭০টি বিষয় স্প্রেডশিটে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনসংক্রান্ত সুপারিশও মূল প্রতিবেদন থেকে কাটছাঁট করে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
বিএনপির শঙ্কা, এ ধরনের স্পষ্ট অসামঞ্জস্যতা একটি পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনার অংশ হতে পারে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অস্বস্তিকর। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনার প্রচেষ্টা নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, সেলিনা রহমান, ইকবাল মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।’