ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

তরুণদের ভোটাধিকার ও টেকসই গণতন্ত্রে পেশাজীবীদের ভূমিকার আহ্বান তারেক রহমানের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়, যাতে পলাতক স্বৈরাচারী গোষ্ঠী উল্লাস করার সুযোগ পায়।”

রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।

তারেক রহমান বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি তরুণ ভোটার এখনো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। ইসলামে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করলে ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীরা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারবে না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সুশীল সমাজ ও পেশাজীবীদের ভূমিকাই রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্র পরিচালনায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় রাজনীতিবিদদের নীতি ও দেশপ্রেমের ওপর, আর তাতে পেশাজীবীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তারেক রহমান বলেন, “গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনে আমরা দেখেছি কীভাবে গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাট হয়েছে। তখন অনেকেই নীরব ছিলেন। এখন সেই অন্ধকার সময় পেরিয়ে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।”
তিনি জানান, বিএনপি চায় দেশের বিশিষ্ট পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুণগত পরিবর্তন আনতে। সে লক্ষ্যেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তারেক রহমানের মতে, “সংস্কার কখনোই চূড়ান্তভাবে শেষ হয় না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই টেকসই হয়ে ওঠে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

তরুণদের ভোটাধিকার ও টেকসই গণতন্ত্রে পেশাজীবীদের ভূমিকার আহ্বান তারেক রহমানের

আপডেট সময় ০১:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়, যাতে পলাতক স্বৈরাচারী গোষ্ঠী উল্লাস করার সুযোগ পায়।”

রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।

তারেক রহমান বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি তরুণ ভোটার এখনো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। ইসলামে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করলে ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীরা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারবে না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সুশীল সমাজ ও পেশাজীবীদের ভূমিকাই রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্র পরিচালনায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় রাজনীতিবিদদের নীতি ও দেশপ্রেমের ওপর, আর তাতে পেশাজীবীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তারেক রহমান বলেন, “গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনে আমরা দেখেছি কীভাবে গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাট হয়েছে। তখন অনেকেই নীরব ছিলেন। এখন সেই অন্ধকার সময় পেরিয়ে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।”
তিনি জানান, বিএনপি চায় দেশের বিশিষ্ট পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুণগত পরিবর্তন আনতে। সে লক্ষ্যেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তারেক রহমানের মতে, “সংস্কার কখনোই চূড়ান্তভাবে শেষ হয় না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই টেকসই হয়ে ওঠে।”