ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণে ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত টানা ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১)-এর দফা (ক) অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে টেকসই মৎস্য আহরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে সব ধরনের ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও আহরণ ব্যবস্থাপনায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৎস্য গবেষকদের মতে, এই ৫৮ দিন সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে মাছের অবাধ প্রজনন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মূল্যবান সামুদ্রিক মাছের মজুদ বৃদ্ধি পাবে এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও সংরক্ষিত হবে।

তবে জেলেদের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে অনেকের আয় কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সরকার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা এই সময় আর্থিক সংকটে না পড়েন।

প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামুদ্রিক মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, এবার সেটির কঠোর বাস্তবায়নের দিকে নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা জেল-জরিমানার মতো শাস্তিও হতে পারে।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় এই ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাছের অবাধ প্রজনন নিশ্চিত করতে এবং টেকসই মৎস্য আহরণ বজায় রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণে ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৩:১৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত টানা ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১)-এর দফা (ক) অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে টেকসই মৎস্য আহরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে সব ধরনের ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও আহরণ ব্যবস্থাপনায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৎস্য গবেষকদের মতে, এই ৫৮ দিন সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে মাছের অবাধ প্রজনন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মূল্যবান সামুদ্রিক মাছের মজুদ বৃদ্ধি পাবে এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও সংরক্ষিত হবে।

তবে জেলেদের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে অনেকের আয় কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সরকার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা এই সময় আর্থিক সংকটে না পড়েন।

প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামুদ্রিক মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, এবার সেটির কঠোর বাস্তবায়নের দিকে নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা জেল-জরিমানার মতো শাস্তিও হতে পারে।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় এই ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাছের অবাধ প্রজনন নিশ্চিত করতে এবং টেকসই মৎস্য আহরণ বজায় রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।