ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফার্নিচার কারখানাসহ বহু দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ফার্নিচার কারখানা ও দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের একটি ফার্নিচার কারখানায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কারখানাগুলোয় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি ফার্নিচারের কারখানা, একটি চায়ের দোকান ও একটি সেলুন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রাতারাতি ব্যবসার এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীকে হতাশায় ফেলেছে।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে বদরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাজারে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, যা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এবং বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফার্নিচার কারখানাসহ বহু দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ফার্নিচার কারখানা ও দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের একটি ফার্নিচার কারখানায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কারখানাগুলোয় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি ফার্নিচারের কারখানা, একটি চায়ের দোকান ও একটি সেলুন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রাতারাতি ব্যবসার এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীকে হতাশায় ফেলেছে।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে বদরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাজারে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, যা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এবং বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।