নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন দাবি জামায়াতের

- আপডেট সময় ০৫:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / 11
জাতীয় নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন যদি নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তা হবে আরও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য।”
আজ বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে জামায়াতে ইসলামী দলের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কার্যালয়ে পৌঁছায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত গেজেটে জামায়াতের নিবন্ধন এবং পূর্বের নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই গেজেটের ভিত্তিতেই আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে দলটি।
হামিদুর রহমান বলেন, “দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সেখানকার চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা মেয়র পদে দলীয় প্রভাব বিস্তার ঘটে। এতে প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন হয় না। অতীতেও আমরা তা দেখেছি। তাই আমরা বারবার নির্দলীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তী যেকোনো ধরনের নিরপেক্ষ সরকার গঠনের ব্যাপারে কমিশন কাজ করছে। আমরা বলেছি, যদি সেই সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।”
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জামায়াত নেতা বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে অন্যায়ভাবে আমাদের নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করা হয়েছিল। এখন গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।”
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (PR) চালুর দাবি জানিয়ে হামিদুর রহমান বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতি রয়েছে। আমরা কমিশনে ১ শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে সংখ্যানুপাতিক হারে আসন বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছি। এই পদ্ধতি চালু হলে কালোটাকা, সন্ত্রাস ও মনোনয়ন বাণিজ্য হ্রাস পাবে।”
প্রবাসীদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ প্রবাসী নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এটা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন। পোস্টাল বা অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে এই অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।”
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলব। তবে আমরা আশাবাদী, কমিশন ভবিষ্যতে জনআস্থা অর্জনের পথেই হাঁটবে।”