ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ইসরায়েলি হামলা: আরব দেশগুলোর তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের ঝড় উত্ত্যক্তকারীদের রুখতে পরিবার ও সমাজকে হতে হবে সক্রিয় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের স্বর্ণ-রুপার আজকের বাজারদর: বাজুসের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত, ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলি হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান, জরুরি অবস্থা জারি ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের

পূর্বাচলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা দ্রুত চিহ্নিত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

পূর্বাচলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা অতি দ্রুত চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “এখানে এখনো মোটামুটি সতেজ একটি বন রয়েছে। সীমানা চিহ্নিত করা এখন সময়ের দাবি এবং এটা দ্রুতই করা হবে। আমরা চাই, ঢাকার মানুষের জন্য এটি একটি নিকটবর্তী বন হিসেবে গড়ে উঠুক যেখানে তারা ঘুরতে আসতে পারবে।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, “ভুল বনায়ন নীতি, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে পূর্বাচলের শালবন ধ্বংসের মুখে পড়ে। পূর্বাচল প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজে রাজউক বনাঞ্চলের একটি অংশকে তাদের আওতায় আনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৪৪ একর বন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।”

তিনি জানান, “আমরা শালগাছের চারা রোপণের মাধ্যমে এই বন পুনরুদ্ধারে কাজ করবো। এখানকার ভূতাত্ত্বিক গঠনের দিক থেকে জায়গাটি তুলনামূলক উঁচু, তাই এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে শালবন ফিরিয়ে আনার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব জায়গা এখনও খালি, সেখানে শালগাছ রোপণ করে ভূমি দখলের আশঙ্কা রোধ করা হবে।”

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এই বনাঞ্চল আগে থেকেই সরকারিভাবে সংরক্ষিত বন হিসেবে চিহ্নিত ছিল। বর্তমানে এটিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “বনের জমির ভেতরে যদি কেউ প্রথাগত বনবাসী না হন, তাহলে তার বসবাসের বৈধতা নেই। যারা অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন, তাদের দ্রুত ওই জমি ছাড়তে হবে।”

পরিদর্শনকালে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সামাজিক বন বিভাগ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ, এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তারসহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পূর্বাচলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা দ্রুত চিহ্নিত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

পূর্বাচলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা অতি দ্রুত চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “এখানে এখনো মোটামুটি সতেজ একটি বন রয়েছে। সীমানা চিহ্নিত করা এখন সময়ের দাবি এবং এটা দ্রুতই করা হবে। আমরা চাই, ঢাকার মানুষের জন্য এটি একটি নিকটবর্তী বন হিসেবে গড়ে উঠুক যেখানে তারা ঘুরতে আসতে পারবে।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, “ভুল বনায়ন নীতি, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে পূর্বাচলের শালবন ধ্বংসের মুখে পড়ে। পূর্বাচল প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজে রাজউক বনাঞ্চলের একটি অংশকে তাদের আওতায় আনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৪৪ একর বন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।”

তিনি জানান, “আমরা শালগাছের চারা রোপণের মাধ্যমে এই বন পুনরুদ্ধারে কাজ করবো। এখানকার ভূতাত্ত্বিক গঠনের দিক থেকে জায়গাটি তুলনামূলক উঁচু, তাই এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে শালবন ফিরিয়ে আনার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব জায়গা এখনও খালি, সেখানে শালগাছ রোপণ করে ভূমি দখলের আশঙ্কা রোধ করা হবে।”

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এই বনাঞ্চল আগে থেকেই সরকারিভাবে সংরক্ষিত বন হিসেবে চিহ্নিত ছিল। বর্তমানে এটিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “বনের জমির ভেতরে যদি কেউ প্রথাগত বনবাসী না হন, তাহলে তার বসবাসের বৈধতা নেই। যারা অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন, তাদের দ্রুত ওই জমি ছাড়তে হবে।”

পরিদর্শনকালে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সামাজিক বন বিভাগ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ, এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তারসহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।