ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

আড়াই ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 14

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টায় আন্দোলনকারীরা নন্দনগাছী রেলস্টেশনের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে আন্দোলন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও স্টেশন সংস্কারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এতে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী মধুমতী, বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।

বিক্ষোভকারীরা স্টেশনের দুই পাশে লাল নিশান টানিয়ে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। পরে স্টেশনের সামনে বিভিন্ন দাবিদাওয়া লেখা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, নন্দনগাছী স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিয়মিত যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে স্টেশনটির জরুরি সংস্কার করতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, “চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়ার হাজারো মানুষ এই স্টেশন ব্যবহার করলে উপকৃত হবেন। রাস্তায় যানজট বাড়ছে, রেলই এখন ভরসা। অথচ যাত্রাবিরতি না থাকায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”

উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নন্দনগাছী স্টেশনটি ২০১৫ সালের শেষ দিকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। একসময় এখানে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে মাত্র একজন পোর্টারম্যান কর্মরত রয়েছেন। এখন শুধু দুটি লোকাল ট্রেন এখানে থামে। প্ল্যাটফর্মে ছাউনি থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টেশনটি একেবারেই জরাজীর্ণ।

এর আগেও গত ১ মে একই দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছিলেন। সেদিন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেল ট্রেন বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে এই আন্দোলন বহুদিনের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। দ্রুত সমাধান না হলে এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আড়াই ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

আপডেট সময় ১০:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টায় আন্দোলনকারীরা নন্দনগাছী রেলস্টেশনের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে আন্দোলন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও স্টেশন সংস্কারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এতে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী মধুমতী, বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।

বিক্ষোভকারীরা স্টেশনের দুই পাশে লাল নিশান টানিয়ে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। পরে স্টেশনের সামনে বিভিন্ন দাবিদাওয়া লেখা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, নন্দনগাছী স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিয়মিত যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে স্টেশনটির জরুরি সংস্কার করতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, “চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়ার হাজারো মানুষ এই স্টেশন ব্যবহার করলে উপকৃত হবেন। রাস্তায় যানজট বাড়ছে, রেলই এখন ভরসা। অথচ যাত্রাবিরতি না থাকায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”

উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নন্দনগাছী স্টেশনটি ২০১৫ সালের শেষ দিকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। একসময় এখানে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে মাত্র একজন পোর্টারম্যান কর্মরত রয়েছেন। এখন শুধু দুটি লোকাল ট্রেন এখানে থামে। প্ল্যাটফর্মে ছাউনি থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টেশনটি একেবারেই জরাজীর্ণ।

এর আগেও গত ১ মে একই দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছিলেন। সেদিন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেল ট্রেন বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে এই আন্দোলন বহুদিনের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। দ্রুত সমাধান না হলে এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।