ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগপত্র রবিবার দাখিল করবে প্রসিকিউশন তামাকের ক্ষতি গরুও বোঝে, মানুষ নয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জার্মানিতে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ২ বরিশালে জাতীয় পার্টির হামলায় গণ অধিকার পরিষদের ১৫ নেতাকর্মী আহত রাজধানীতে বড় সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের ভারতে ফের করোনার আঘাত, মৃত ৭, আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার মেঘনায় ভয়াবহ ট্রলারডুবি: ২৫ জন জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ এখনও ১৪ নির্বাচনকে ঘিরে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে: মির্জা আব্বাস ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে আবারও ধস ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, চার দিনে আক্রান্ত ১৭শ’র বেশি

সিরিয়ার জনগণের পাশে ইইউ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি: সংগৃহীত

 

দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অবশেষে সিরিয়ার পুনর্গঠন ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের পথে বড় এক পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার ব্রাসেলসে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইইউ জানায়, দেশটির জনগণের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করতে সিরিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ইইউ’র পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এর আগেই এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিলেন, যার ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। ইইউ বলছে, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশের সাধারণ জনগণ যাতে পুনরায় স্থিতিশীল ও নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে সব নিষেধাজ্ঞা একযোগে তুলে নেওয়া হয়নি। ইইউ পরিষদের বিবৃতিতে জানানো হয়, বাশার আল-আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ সংস্থা ও ব্যক্তিদের ওপর যেসব নিরাপত্তাভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলো বহাল থাকবে। বরং চলতি বছরের মার্চে সংঘটিত সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি চালিয়ে যাওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অস্থিরতা সৃষ্টি করা যেকোনো পক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইইউ’র এই পদক্ষেপ শুধু সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারেই নয়, বরং দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হবে। সিরিয়ার জনগণের জন্য এটি একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে সিরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দীর্ঘ যুদ্ধের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে এখন প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ, যেখানে অর্থনৈতিক সুযোগ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও আন্তর্জাতিক সহায়তা থাকবে পাশে। ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সে পথেই একটি ইতিবাচক সূচনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ার জনগণের পাশে ইইউ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১১:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অবশেষে সিরিয়ার পুনর্গঠন ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের পথে বড় এক পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার ব্রাসেলসে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইইউ জানায়, দেশটির জনগণের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করতে সিরিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ইইউ’র পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এর আগেই এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিলেন, যার ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। ইইউ বলছে, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশের সাধারণ জনগণ যাতে পুনরায় স্থিতিশীল ও নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে সব নিষেধাজ্ঞা একযোগে তুলে নেওয়া হয়নি। ইইউ পরিষদের বিবৃতিতে জানানো হয়, বাশার আল-আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ সংস্থা ও ব্যক্তিদের ওপর যেসব নিরাপত্তাভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলো বহাল থাকবে। বরং চলতি বছরের মার্চে সংঘটিত সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি চালিয়ে যাওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অস্থিরতা সৃষ্টি করা যেকোনো পক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইইউ’র এই পদক্ষেপ শুধু সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারেই নয়, বরং দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হবে। সিরিয়ার জনগণের জন্য এটি একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে সিরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দীর্ঘ যুদ্ধের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে এখন প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ, যেখানে অর্থনৈতিক সুযোগ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও আন্তর্জাতিক সহায়তা থাকবে পাশে। ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সে পথেই একটি ইতিবাচক সূচনা।