ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত, আহত ৪ অক্টোবরের মধ্যে ভাঙাচোড়া রাস্তা সংস্কার ও পুরোনো বাস সরানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা মেক্সিকোর একটি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত ৩৮১ মরদেহ উদ্ধার ইতিহাসে প্রথম চীনে অনুষ্ঠিত হলো এআই-চালিত হিউম্যানয়েড রোবট ফুটবল ম্যাচ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ঘরধস, প্রাণ হারাল আরও ৮ জন আবু সাঈদ হত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল সুদানের স্বর্ণখনি ধসে ১১ শ্রমিক নিহত, আহত ৭ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এখনো পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় বিএনপি: মোশাররফ হোসেন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

কুয়েট ভিসি ও উপ-উপাচার্য অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু, সংকট নিরসনে উদ্যোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 21

ছবি: সংগৃহীত

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর সাম্প্রতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু রাখার স্বার্থে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই দুই পদে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে।” এছাড়াও, চলমান প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখতে জ্যেষ্ঠ কোনো অধ্যাপককে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হন। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে।

কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পরদিন, ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত কুয়েটের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যারা ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।

এই বহিষ্কারাদেশ এবং ভিসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ শিক্ষার্থী এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন, যেখানে তাঁদের প্রধান দাবি ছিল ভিসির অপসারণ। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা উপস্থিত হলেও তাঁদের অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ হন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আলটিমেটাম দেন।

সরকারের পক্ষ থেকে এবার সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া শুরু হওয়ায় শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আশা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সংকট সমাধান এবং শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েট ভিসি ও উপ-উপাচার্য অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু, সংকট নিরসনে উদ্যোগ

আপডেট সময় ১০:০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর সাম্প্রতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু রাখার স্বার্থে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই দুই পদে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে।” এছাড়াও, চলমান প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখতে জ্যেষ্ঠ কোনো অধ্যাপককে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হন। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে।

কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পরদিন, ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত কুয়েটের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যারা ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।

এই বহিষ্কারাদেশ এবং ভিসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ শিক্ষার্থী এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন, যেখানে তাঁদের প্রধান দাবি ছিল ভিসির অপসারণ। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা উপস্থিত হলেও তাঁদের অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ হন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আলটিমেটাম দেন।

সরকারের পক্ষ থেকে এবার সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া শুরু হওয়ায় শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আশা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সংকট সমাধান এবং শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।