ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণে ইসির তিন পদ্ধতির চিন্তাভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনটি পদ্ধতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পোস্টাল, প্রক্সি ও অনলাইন এই তিন বিকল্প পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় কমিশন। 

বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার কার্যকর করতে দীর্ঘ গবেষণার পর তিনটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেগুলো নিরসনে বিশেষজ্ঞদের একটি টিম কাজ করছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।”

তিনি আরও জানান, “বিস্তৃত পরিসরে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হলে প্রক্সি ভোট পদ্ধতি সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনে পোস্টাল বা অনলাইন পদ্ধতিও বিবেচনায় আসবে। যেটিই বেছে নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন পূর্বে তিন ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।”

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। সেখানে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে প্রযুক্তিগত, সামাজিক ও আইনগত দিক বিবেচনায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ইসি কমিশনার জানান, “যে পদ্ধতিই গ্রহণ করা হোক, ভোটারকে অবশ্যই আগে নিবন্ধন করতে হবে। যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। যেসব ভোটার নিজেরা উপস্থিত থেকে ভোট দিতে পারেন না, সেখানে কারচুপির আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই প্রতিটি পদ্ধতির দুর্বলতা ও ঝুঁকি সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিস্তৃতভাবে না হলেও, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে অন্তত উদ্যোগটি শুরু করতে চায় ইসি।”

তিনি আরও বলেন, “কমিশনের লক্ষ্য হলো বাস্তবতা, সামাজিক অবস্থা ও ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় একটি টেকসই এবং কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণ করা। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুধু দেশে নয়, বিদেশে অবস্থানরত ভোটারদের দিকেও সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া।”

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আরও কয়েক দফা আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এবারের জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বড় পরিসরে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণে ইসির তিন পদ্ধতির চিন্তাভাবনা

আপডেট সময় ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনটি পদ্ধতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পোস্টাল, প্রক্সি ও অনলাইন এই তিন বিকল্প পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় কমিশন। 

বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার কার্যকর করতে দীর্ঘ গবেষণার পর তিনটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেগুলো নিরসনে বিশেষজ্ঞদের একটি টিম কাজ করছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।”

তিনি আরও জানান, “বিস্তৃত পরিসরে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হলে প্রক্সি ভোট পদ্ধতি সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনে পোস্টাল বা অনলাইন পদ্ধতিও বিবেচনায় আসবে। যেটিই বেছে নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন পূর্বে তিন ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।”

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। সেখানে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে প্রযুক্তিগত, সামাজিক ও আইনগত দিক বিবেচনায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ইসি কমিশনার জানান, “যে পদ্ধতিই গ্রহণ করা হোক, ভোটারকে অবশ্যই আগে নিবন্ধন করতে হবে। যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। যেসব ভোটার নিজেরা উপস্থিত থেকে ভোট দিতে পারেন না, সেখানে কারচুপির আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই প্রতিটি পদ্ধতির দুর্বলতা ও ঝুঁকি সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিস্তৃতভাবে না হলেও, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে অন্তত উদ্যোগটি শুরু করতে চায় ইসি।”

তিনি আরও বলেন, “কমিশনের লক্ষ্য হলো বাস্তবতা, সামাজিক অবস্থা ও ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় একটি টেকসই এবং কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণ করা। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুধু দেশে নয়, বিদেশে অবস্থানরত ভোটারদের দিকেও সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া।”

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আরও কয়েক দফা আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এবারের জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বড় পরিসরে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেতে পারেন।