১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রকে গোয়েন্দা তথ্য দেয়া বন্ধ করলো যুক্তরাজ্য এই সপ্তাহে মাঠে নামছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, জানুন কখন কোথায় খেলবে দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ অতিথি মেসি ও আর্জেন্টিনা দল ইউক্রেনে রুশ ড্রোন আটকাতে ফ্রান্সের পুরনো মাছ ধরার জাল ব্যবহৃত হচ্ছে মায়েরা কাজ করবে ৫ ঘণ্টা, বাকি ৩ ঘণ্টার বেতন দেবে সরকার: জামায়াত আমির পাকিস্তানে আদালতের বাইরে বিস্ফোরণ, নিহত ১২ সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুমকি ট্রাম্পের স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল, ভরিতে বেড়েছে ২ হাজার ৫০৭ টাকা সিরিয়ার স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস ট্রাম্পের

অস্ট্রেলিয়ার নতুন সিদ্ধান্ত: ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

 

আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। এ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। এর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সবগুলো ঘোষণা সেপ্টেম্বরের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক হবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে। ফরসা ইনস্টিটিউট ফর ফরেন পলিসির জরিপে দেখা গেছে, গড়ে ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির ব্যাপারে ‘হ্যাঁ’ জবাব দিয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজ ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের আলবানিজ বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে এবং গাজায় সংঘাত, দুর্ভোগ ও অনাহার শেষ করতে দুই রাষ্ট্র সমাধানই মানবতার জন্য সর্বোত্তম আশা।” তিনি আরও বলেন, “যতদিন পৃথক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা চিরস্থায়ী না হচ্ছে, ততদিন শান্তিও স্থায়িত্ব পাবে না।”

অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের নিজেদের দেশ পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে এই অধিকারকে বাস্তবায়িত করতে চায়।
গাজায় দুই বছর ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল, এই প্রেক্ষাপটেই পশ্চিমের দেশগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে।

আলবানিজ জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বস্ত করেছে যে, “ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের জঙ্গিদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।” এই আশ্বাসের ভিত্তিতে ক্যানবেরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

তবে গাজার মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের এখতিয়ার নেই, কারণ গাজার শাসনভার প্রায় দুই দশক ধরে হামাসের হাতে রয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বানের সমালোচনা করে বলেন, “এতে শান্তি আসবে না, বরং আরও যুদ্ধের সূত্রপাত হবে।” তিনি জানান, বিষয়টি ‘হতাশাজনক ও লজ্জাজনক।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জানিয়েছেন, তার দেশও আগামী মাসে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৫ ত্রাণপ্রত্যাশীসহ ৬১ জনের প্রাণ গেছে, যার মধ্যে ১০০ শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় মোট ৬১,৪৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৫৩,২১৩ জন আহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

অস্ট্রেলিয়ার নতুন সিদ্ধান্ত: ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি

আপডেট সময় ০৭:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

 

 

আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। এ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। এর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সবগুলো ঘোষণা সেপ্টেম্বরের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক হবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে। ফরসা ইনস্টিটিউট ফর ফরেন পলিসির জরিপে দেখা গেছে, গড়ে ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির ব্যাপারে ‘হ্যাঁ’ জবাব দিয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজ ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের আলবানিজ বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে এবং গাজায় সংঘাত, দুর্ভোগ ও অনাহার শেষ করতে দুই রাষ্ট্র সমাধানই মানবতার জন্য সর্বোত্তম আশা।” তিনি আরও বলেন, “যতদিন পৃথক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা চিরস্থায়ী না হচ্ছে, ততদিন শান্তিও স্থায়িত্ব পাবে না।”

অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের নিজেদের দেশ পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে এই অধিকারকে বাস্তবায়িত করতে চায়।
গাজায় দুই বছর ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল, এই প্রেক্ষাপটেই পশ্চিমের দেশগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে।

আলবানিজ জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বস্ত করেছে যে, “ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের জঙ্গিদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।” এই আশ্বাসের ভিত্তিতে ক্যানবেরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

তবে গাজার মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের এখতিয়ার নেই, কারণ গাজার শাসনভার প্রায় দুই দশক ধরে হামাসের হাতে রয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বানের সমালোচনা করে বলেন, “এতে শান্তি আসবে না, বরং আরও যুদ্ধের সূত্রপাত হবে।” তিনি জানান, বিষয়টি ‘হতাশাজনক ও লজ্জাজনক।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জানিয়েছেন, তার দেশও আগামী মাসে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৫ ত্রাণপ্রত্যাশীসহ ৬১ জনের প্রাণ গেছে, যার মধ্যে ১০০ শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় মোট ৬১,৪৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৫৩,২১৩ জন আহত হয়েছেন।