ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

বিমসটেক সম্মেলন: ড. ইউনূস ও মোদির বৈঠকের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি, জানালেন রণধীর জয়সওয়াল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ডে যখন আঞ্চলিক কূটনীতির জোর প্রস্তুতি চলছে, তখনই অনিশ্চয়তায় মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (২১ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে জানান, বিমসটেক সম্মেলনের সাইড লাইনে ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার ভাষায়, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো আপডেট নেই।”

এর আগেই ভারতের গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ দাবি করেছিল, আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে দুই নেতার সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। ভারতের কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এটি এখনো চূড়ান্ত নয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও এ পর্যন্ত তার কোনো সাড়া মেলেনি। এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময়ও এমন একটি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ হিসেবে এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক কৌতূহল।

বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে অংশ নিতে ৩ এপ্রিল ব্যাংকক যাবেন অধ্যাপক ইউনূস। ৪ এপ্রিল সম্মেলন শেষে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বৈঠকটি শেষপর্যন্ত হলে, তা হবে শুধু বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিমসটেক সম্মেলন: ড. ইউনূস ও মোদির বৈঠকের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি, জানালেন রণধীর জয়সওয়াল

আপডেট সময় ০৩:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ডে যখন আঞ্চলিক কূটনীতির জোর প্রস্তুতি চলছে, তখনই অনিশ্চয়তায় মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (২১ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে জানান, বিমসটেক সম্মেলনের সাইড লাইনে ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার ভাষায়, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো আপডেট নেই।”

এর আগেই ভারতের গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ দাবি করেছিল, আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে দুই নেতার সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। ভারতের কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এটি এখনো চূড়ান্ত নয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও এ পর্যন্ত তার কোনো সাড়া মেলেনি। এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময়ও এমন একটি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ হিসেবে এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক কৌতূহল।

বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে অংশ নিতে ৩ এপ্রিল ব্যাংকক যাবেন অধ্যাপক ইউনূস। ৪ এপ্রিল সম্মেলন শেষে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বৈঠকটি শেষপর্যন্ত হলে, তা হবে শুধু বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।