ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না ইরান: খামেনি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 38

ছবি: সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আলোচনায় বসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শনিবার তিনি বলেন, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মেনে কোনো চুক্তিতে যাবে না, বরং ওয়াশিংটনকে তার আচরণ বদলাতে হবে।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে দুটি পথ খোলা রয়েছে একটি হচ্ছে সামরিক পদক্ষেপ, অন্যটি হচ্ছে কূটনৈতিক সমঝোতা। তবে খামেনি তার বক্তব্যে ইঙ্গিত দেন, ইরান কোনো শর্তের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।

শুক্রবার ফক্স বিজনেসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করছে। তার দাবি, ইরান হয় চুক্তিতে আসবে, নয়তো সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হবে। এর জবাবে খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো তাদের ইচ্ছা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। তারা আলোচনার নামে ইরানের কাছে নিত্যনতুন দাবি তুলতে চায়, যা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।”

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তেহরানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি বলেন, “কিছু গুণ্ডা সরকার ভয় দেখিয়ে আলোচনার টেবিলে বসাতে চায়। কিন্তু ইরান কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না।”

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অনুসরণ করছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি, জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর থেকে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হয়, বিশেষ করে তাদের তেল রপ্তানিকে শূন্যে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যতই কঠোর হোক, দেশটি তার স্বাধীন কূটনৈতিক অবস্থান থেকে সরে আসবে না। বরং ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো আলোচনার পূর্বশর্ত হবে, তাদের আগ্রাসী নীতি পরিবর্তন করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না ইরান: খামেনি

আপডেট সময় ১১:১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আলোচনায় বসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শনিবার তিনি বলেন, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মেনে কোনো চুক্তিতে যাবে না, বরং ওয়াশিংটনকে তার আচরণ বদলাতে হবে।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে দুটি পথ খোলা রয়েছে একটি হচ্ছে সামরিক পদক্ষেপ, অন্যটি হচ্ছে কূটনৈতিক সমঝোতা। তবে খামেনি তার বক্তব্যে ইঙ্গিত দেন, ইরান কোনো শর্তের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।

শুক্রবার ফক্স বিজনেসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করছে। তার দাবি, ইরান হয় চুক্তিতে আসবে, নয়তো সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হবে। এর জবাবে খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো তাদের ইচ্ছা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। তারা আলোচনার নামে ইরানের কাছে নিত্যনতুন দাবি তুলতে চায়, যা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।”

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তেহরানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি বলেন, “কিছু গুণ্ডা সরকার ভয় দেখিয়ে আলোচনার টেবিলে বসাতে চায়। কিন্তু ইরান কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না।”

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অনুসরণ করছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি, জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর থেকে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হয়, বিশেষ করে তাদের তেল রপ্তানিকে শূন্যে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যতই কঠোর হোক, দেশটি তার স্বাধীন কূটনৈতিক অবস্থান থেকে সরে আসবে না। বরং ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো আলোচনার পূর্বশর্ত হবে, তাদের আগ্রাসী নীতি পরিবর্তন করা।