ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ, ইউক্রেনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তি আমাদের লক্ষ্য: জয়শঙ্কর ব্রিসবেনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’ এর আগমন: সতর্কতায় স্তব্ধ শহর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, যুক্তরাজ্যে চাঞ্চল্য যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সম্পদের হিসাব না দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কুমিল্লার গোমতী চরের মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের রেকর্ড, যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, গাজীপুরের ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা: সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত, উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ, বুধবার (৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের এই পরিদর্শন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় ২০১৯ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল আকরাম, শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফাহিম হাসান, এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করানোর সময় মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন কোনাবাড়ী থানার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে আচরণ করছিল। ওইদিন গাজীপুরের এক শিক্ষার্থী হৃদয়কে কিছু পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, এবং ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আকরাম এসে হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, হৃদয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানবিক মর্যাদার চরম লঙ্ঘন, যা বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করেছে, এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, এবং তার বিচার প্রক্রিয়া কি রূপ নেবে, তা সময়ই বলে দিবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, গাজীপুরের ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা: সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত, উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ, বুধবার (৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের এই পরিদর্শন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় ২০১৯ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল আকরাম, শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফাহিম হাসান, এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করানোর সময় মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন কোনাবাড়ী থানার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে আচরণ করছিল। ওইদিন গাজীপুরের এক শিক্ষার্থী হৃদয়কে কিছু পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, এবং ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আকরাম এসে হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, হৃদয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানবিক মর্যাদার চরম লঙ্ঘন, যা বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করেছে, এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, এবং তার বিচার প্রক্রিয়া কি রূপ নেবে, তা সময়ই বলে দিবে।