ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

ইরানের তেল রপ্তানি কমিয়ে ১০%–এর নিচে নামানোর পরিকল্পনা: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কৌশল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি আরও সীমিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল বাণিজ্যে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রপ্তানির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নামাতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ১৪ ফেব্রুয়ারি ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বেসেন্ট জানান, বর্তমানে ইরান প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে, যা কমিয়ে ১ লাখ ব্যারেলে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ইরানের তেল রপ্তানি ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়ন থেকে বিরত রাখতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসেন্ট বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইরানকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, কারণ ইরানের অর্থনীতি বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে না পারলেও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিছুটা সফল হতে পারে। যদিও ইরান এ বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বান আরাগচি বলেন, ‘ট্রাম্পের চাপের নীতির অধীনে কোনো আলোচনা হতে পারে না, কারণ এটি আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছু নয়।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেকের স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থেকে খুব বেশি প্রভাবিত হবে না, এবং বাজারে সরিয়ে নেওয়া তেলের সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের তেল রপ্তানি কমিয়ে ১০%–এর নিচে নামানোর পরিকল্পনা: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কৌশল

আপডেট সময় ১২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি আরও সীমিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল বাণিজ্যে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রপ্তানির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নামাতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ১৪ ফেব্রুয়ারি ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বেসেন্ট জানান, বর্তমানে ইরান প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে, যা কমিয়ে ১ লাখ ব্যারেলে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ইরানের তেল রপ্তানি ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়ন থেকে বিরত রাখতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসেন্ট বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইরানকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, কারণ ইরানের অর্থনীতি বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে না পারলেও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিছুটা সফল হতে পারে। যদিও ইরান এ বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বান আরাগচি বলেন, ‘ট্রাম্পের চাপের নীতির অধীনে কোনো আলোচনা হতে পারে না, কারণ এটি আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছু নয়।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেকের স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থেকে খুব বেশি প্রভাবিত হবে না, এবং বাজারে সরিয়ে নেওয়া তেলের সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে।