আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন

- আপডেট সময় ০৭:০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / 5
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, রবিবার ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গুলিতে তিন শিশুসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজার চারটি পৃথক স্থানে চালানো বিমান হামলায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এছাড়া একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে বন্দুকের গুলিতে একজন নিহত হন।
বাসাল জানান, গাজার জেইতুন এলাকায় একটি আবাসিক বাড়িতে বিমান হামলায় ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, যেখানে দুই শিশু মারা গেছে। ওই পরিবারের সদস্য আবদেল রহমান আজম বলেন, “বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমরা ছুটে যাই, দেখি বাড়িটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখান থেকে দুই শিশু শহীদ হয়েছে, আরও ২০ জন আহত। কোনো সতর্কতা ছাড়াই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। প্রতিদিন আতঙ্কে ঘুমাতে যাচ্ছি, জানি না বেঁচে ঘুম থেকে উঠতে পারব কি না।”
তিনি আরো জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাফা শহরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে গুলিতে নিহত হয়েছেন ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ এক ব্যক্তি।
এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ২০২৩ সাল থেকে হামাসের সশস্ত্র অবকাঠামো ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে।
অন্যদিকে রবিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অভিচয় আদ্রে বলেন, “এই এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির সক্ষমতা ধ্বংসে অভিযান আরও বিস্তৃত ও তীব্র হবে।” তিনি ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে আহ্বান জানান।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ হাজার ৪১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ। জাতিসংঘ এই সংখ্যাকে “বিশ্বাসযোগ্য” বলে উল্লেখ করেছে।
সূত্র: এএফপি