সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 9
সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ছাদে রুফটপ সোলার প্যানেল স্থাপন করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বিষয়ক এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থা (IRENA)-র ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে যেখানে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ থেকে পূরণ হয়, সেখানে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ৫.৬ শতাংশ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই খাতে আমাদের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। রুফটপ সোলার কর্মসূচির মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সব সরকারি ভবন, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং হাসপাতালের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই কার্যক্রম বেসরকারি খাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা বিবেচনায় আনুন। ছাদ ব্যবহারের অনুমতি দেবে সরকার, আর বেসরকারি উদ্যোক্তারাই ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ইতোমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান সোলার প্যানেল স্থাপন করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী সমাধান নিতে হবে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি স্থলভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে, প্রস্তাবিত রুফটপ সোলার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ বিলমুক্ত সুবিধা পাবে এবং ছাদ ব্যবহার বাবদ ভাড়াও গ্রহণ করতে পারবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
এছাড়া বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।