ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে পুকুরে ডুবে ফাহিম হোসেন (৮) নামে এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর দুইটার দিকে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত একটি পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ফাহিম হোসেন ওই গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে ফাহিম অন্যান্য শিশুর সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলাধুলার একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত সে বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। প্রথমদিকে বিষয়টি কেউ বুঝতে না পারলেও, দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না মেলায় চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয়রা ফাহিমের নিথর দেহ পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশু বয়সে এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

জানা গেছে, মাত্র দুই বছর আগে একই পুকুরে সাব্বির হোসেন নামে এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছিলেন। একই স্থানে এভাবে আবারো একটি প্রাণহানির ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত ও শোকাহত। পুকুরটি খোলা অবস্থায় থাকায় শিশুদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

এদিকে, ফাহিমের মৃত্যুর পর পুকুরটি ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, “পুকুরটি বিদ্যালয়ের পাশেই, প্রতিদিন শত শত শিশু এখানে খেলে। যদি আগেই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।”

স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিশুটির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ০৪:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে পুকুরে ডুবে ফাহিম হোসেন (৮) নামে এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর দুইটার দিকে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত একটি পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ফাহিম হোসেন ওই গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে ফাহিম অন্যান্য শিশুর সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলাধুলার একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত সে বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। প্রথমদিকে বিষয়টি কেউ বুঝতে না পারলেও, দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না মেলায় চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয়রা ফাহিমের নিথর দেহ পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশু বয়সে এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

জানা গেছে, মাত্র দুই বছর আগে একই পুকুরে সাব্বির হোসেন নামে এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছিলেন। একই স্থানে এভাবে আবারো একটি প্রাণহানির ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত ও শোকাহত। পুকুরটি খোলা অবস্থায় থাকায় শিশুদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

এদিকে, ফাহিমের মৃত্যুর পর পুকুরটি ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, “পুকুরটি বিদ্যালয়ের পাশেই, প্রতিদিন শত শত শিশু এখানে খেলে। যদি আগেই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।”

স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিশুটির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।