লন্ডন বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা নয়, বিষয়-সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করুন: পীর সাহেব চরমোনাই

- আপডেট সময় ০৮:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / 1
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক দেশের রাজনীতিতে কিছু সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তা রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের অস্বস্তিরও সৃষ্টি করেছে।
রোববার (১৫ জুন) পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে একান্ত বৈঠক রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আগামীর রাজনীতি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে এ বৈঠকে কী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জাতির সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বহু দলীয় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বহু রাজনৈতিক দল জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে। তাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে সকল রাজনৈতিক শক্তিকে যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি উপেক্ষা করে ঈদের আগের দিন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে ঘোষিত সময়সীমা ও পরবর্তীতে সেটি পুনর্বিবেচনার ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গঠনের স্বার্থেই এই অস্বস্তি নিরসন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অবিচল রয়েছে। এই দাবি যাতে নির্বাচনী ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে না যায়, সে বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে পীর সাহেব বলেন, আপনারা নির্বাচনী প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। এখন দেশকে ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্র থেকে রক্ষায় প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে সহযোগিতা করা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী মেয়াদের সীমা নির্ধারণ, সংসদীয় কমিটিতে বিরোধী দলের নেতৃত্বসহ যেসব আইনি প্রতিরোধের প্রস্তাব এসেছে, বিএনপি তা সমর্থন করবে বলেই আমরা আশা করি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন এবং যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।