দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা নিষ্ক্রিয় করতে জার্মানিতে নজিরবিহীন অভিযান

- আপডেট সময় ০৫:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / 3
জার্মানির কোলন শহরের ডয়টজ এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার তিনটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধারের পর শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় সাড়ে ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার একটি শিপইয়ার্ডে বোমাগুলোর সন্ধান মেলে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই বোমাগুলো এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ
বোমা নিষ্ক্রিয়ের আগে এক হাজার মিটার ব্যাসার্ধের একটি বিস্তৃত এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। কোলনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এটিকেই সবচেয়ে বড় নিষ্ক্রিয়তা অভিযান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ভবন, দোকান, স্কুল, হোটেল, সরকারি অফিস, এমনকি একটি বড় হাসপাতাল ও প্রধান ট্রেন স্টেশনও খালি করতে বলা হয়েছে।
শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘর না ছাড়ে, তবে পুলিশ বাধ্য হয়ে জোরপূর্বক সরিয়ে নেবে। যারা নির্দেশ অমান্য করবে, তাদের বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এডুয়ারডাস হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যে কয়েকজন আইসিইউ রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১০ টন ও ২০ টনের দুটি বোমা বুধবার নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে পুরো এলাকা জনশূন্য না হলে এ কাজ সম্ভব নয়।
ডয়টজ ও ওল্ড টাউন এলাকায় সকাল থেকেই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ব্যস্ততম সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে, দোকানপাট ও রেস্তোরাঁসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ফিলহারমোনি কনসার্ট হল, জাদুঘর, ৫৮টি হোটেল, ৯টি স্কুল ও সরকারি অফিসগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। মেসে/ডয়টজ ট্রেন স্টেশন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে, বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আশপাশের সড়কপথও।
কোলন-বন বিমানবন্দর জানিয়েছে, ফ্লাইট চলবে ঠিকই, তবে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সড়ক ও ট্রেন সংযোগে সমস্যা হতে পারে। যাদের কোনো গন্তব্য নেই, তাদের জন্য দুটি বিশেষ আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন শান্ত থাকে, জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পোষা প্রাণীদের সঙ্গে রাখে। জানা গেছে, শহরের ঐতিহাসিক টাউন হলে নির্ধারিত ১৫টি বিয়ের অনুষ্ঠান স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও শহরবাসী শান্ত থেকে সহযোগিতা করছেন।দ্বিতীয়