ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত, নিখোঁজ বহু বন্দি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়ি অঞ্চলে স্নাইপার হামলা, নিহত ২ ফায়ার সার্ভিস কর্মী হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হাজি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে তেলের বাজারে দামে পতন মেসির ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে পিএসজি মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় করে না জামায়াত: ডা. তাহের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 25

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী কোনো রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় করে না, পরোয়া করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, দেশের স্বার্থ যেখানে সংশ্লিষ্ট, সেখানে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ নয়, বরং দেশের মঙ্গলকেই প্রাধান্য দেবে জামায়াতে ইসলামী। যা দেশের কল্যাণে প্রয়োজন, সেই যেকোনো সংস্কার ও পরিবর্তনে দলটি সর্বাত্মক সমর্থন জানায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন। কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বা চাপের কাছে আমাদের নতি নেই। স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

গণতন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী অঙ্গীকারবদ্ধ। দলের ভেতরেও আমরা গণতান্ত্রিক চর্চা করি। আমাদের দলীয় নির্বাচন হয় প্রার্থীহীন, প্যানেলবিহীন ও প্রচারণাহীন ওপেন ব্যালটে। এটাই আমাদের স্বকীয়তা। আমরা চাই এ ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চা জাতীয় পর্যায়েও প্রতিষ্ঠা হোক।

ডা. তাহের বলেন, দেশে একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সেগুলো নির্বাচনের নামে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এর ফলে জবাবদিহিতার অভাব সৃষ্টি হয়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে পুরো জাতি। আমরা চাই না, এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হোক।

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের আজকের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মূল কারণ দুর্নীতি। যারা ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যেতে চায়, যারা পরিশ্রম ছাড়া টাকা কামাতে চায়, তারাই দুর্নীতিবাজ। সম্প্রতি জানা গেছে, ২৩০ থেকে ২৩৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে এক বা দুই ব্যক্তির মাধ্যমে। এই অর্থ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও উন্নয়নে ব্যয় হলে বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নত অবস্থানে থাকত।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, উন্নত ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে চাই আমরা। নৈতিকতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আশ্বস্ত করে বলেন, গঠনমূলক, ইতিবাচক ও বাস্তবভিত্তিক সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় করে না জামায়াত: ডা. তাহের

আপডেট সময় ০৩:১৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী কোনো রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় করে না, পরোয়া করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, দেশের স্বার্থ যেখানে সংশ্লিষ্ট, সেখানে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ নয়, বরং দেশের মঙ্গলকেই প্রাধান্য দেবে জামায়াতে ইসলামী। যা দেশের কল্যাণে প্রয়োজন, সেই যেকোনো সংস্কার ও পরিবর্তনে দলটি সর্বাত্মক সমর্থন জানায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন। কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বা চাপের কাছে আমাদের নতি নেই। স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

গণতন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী অঙ্গীকারবদ্ধ। দলের ভেতরেও আমরা গণতান্ত্রিক চর্চা করি। আমাদের দলীয় নির্বাচন হয় প্রার্থীহীন, প্যানেলবিহীন ও প্রচারণাহীন ওপেন ব্যালটে। এটাই আমাদের স্বকীয়তা। আমরা চাই এ ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চা জাতীয় পর্যায়েও প্রতিষ্ঠা হোক।

ডা. তাহের বলেন, দেশে একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সেগুলো নির্বাচনের নামে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এর ফলে জবাবদিহিতার অভাব সৃষ্টি হয়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে পুরো জাতি। আমরা চাই না, এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হোক।

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের আজকের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মূল কারণ দুর্নীতি। যারা ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যেতে চায়, যারা পরিশ্রম ছাড়া টাকা কামাতে চায়, তারাই দুর্নীতিবাজ। সম্প্রতি জানা গেছে, ২৩০ থেকে ২৩৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে এক বা দুই ব্যক্তির মাধ্যমে। এই অর্থ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও উন্নয়নে ব্যয় হলে বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নত অবস্থানে থাকত।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, উন্নত ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে চাই আমরা। নৈতিকতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আশ্বস্ত করে বলেন, গঠনমূলক, ইতিবাচক ও বাস্তবভিত্তিক সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।