ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি

আমাকে নিয়ে চালানো হচ্ছে রাজনীতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার: টিউলিপ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 81

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্ত ও অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ একটি মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আমাকে হেনস্তা করতে চাচ্ছে।”

টিউলিপ জানান, তার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “এই ধরনের রাজনৈতিক হয়রানির পেছনে কোনো ভিত্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।”

টিউলিপের আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এক বিবৃতিতে জানায়, “দুদক গণমাধ্যমে মিসেস সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাদের পক্ষ থেকে সব অভিযোগের লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে, দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “এই অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। বরং এগুলোর পেছনে রয়েছে নথিভুক্ত প্রমাণ এবং প্রকৃত দুর্নীতির তথ্য।”

দুদক দাবি করেছে, তারা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে। এই তদন্তের ভিত্তি রূপে কাজ করছে শেখ হাসিনার বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজের করা অভিযোগ।

ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার একটি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা রাখেন, যার আওতায় একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বেশি দেখানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি ব্যক্তিগত মামলা, এবং আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।”

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখলেও কোনো অসংগতি খুঁজে পাননি। তার পরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাকে নিয়ে চালানো হচ্ছে রাজনীতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার: টিউলিপ

আপডেট সময় ১০:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্ত ও অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ একটি মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আমাকে হেনস্তা করতে চাচ্ছে।”

টিউলিপ জানান, তার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “এই ধরনের রাজনৈতিক হয়রানির পেছনে কোনো ভিত্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।”

টিউলিপের আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এক বিবৃতিতে জানায়, “দুদক গণমাধ্যমে মিসেস সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাদের পক্ষ থেকে সব অভিযোগের লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে, দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “এই অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। বরং এগুলোর পেছনে রয়েছে নথিভুক্ত প্রমাণ এবং প্রকৃত দুর্নীতির তথ্য।”

দুদক দাবি করেছে, তারা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে। এই তদন্তের ভিত্তি রূপে কাজ করছে শেখ হাসিনার বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজের করা অভিযোগ।

ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার একটি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা রাখেন, যার আওতায় একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বেশি দেখানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি ব্যক্তিগত মামলা, এবং আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।”

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখলেও কোনো অসংগতি খুঁজে পাননি। তার পরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।