ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নতুন প্রাণশক্তি যোগাচ্ছেন ড. খলিল, পররাষ্ট্রনীতিতে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রেসসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ভোররাতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তী সরকারের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “অল্প কয়েক মাসেই তিনি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন প্রাণসঞ্চার করেছেন।”

ড. খলিল একজন শান্ত স্বভাবের, পরিশীলিত মানুষ। জাতিসংঘে শীর্ষ পদে কাজ করেছেন, এবং ছিলেন প্রথম বিসিএস ক্যাডার কূটনীতিকদের অন্যতম। যখন তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিলেন, তখন তাঁর সম্পর্কে অনেকেই কম জানতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন দূরদর্শী কূটনীতিক হিসেবে।

শফিকুল আলম বলেন, ড. খলিলের সবচেয়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো। এই উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা কুড়িয়েছে, এমনকি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে একটি কৃতজ্ঞতাসূচক চিঠিও পাঠান।

চীন ও ব্যাংকক সফরে ড. খলিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শফিকুল বলেন, “শাংরি-লা হোটেলের ডিনারে যখন সবাই সুস্বাদু থাই খাবারে ব্যস্ত, তখন খলিল ভাই বাংলাদেশের কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন।” তিনি প্রথমে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এরপর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নৈশভোজ করেন।

যদিও আলোচনা ছিল অনানুষ্ঠানিক, কিন্তু সেখান থেকেই অনেক জমাট ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে, যার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে।

শফিকুল আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দক্ষ কূটনৈতিক টিম কাজ করছে। ইউনূস সাহসী, স্পষ্টবাদী এবং বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।” এই দলে তৌহিদ হোসেনের মতো অকপট চরিত্র ও ড. খলিলের অভিজ্ঞতা মিলে তৈরি হয়েছে এক বাস্তব, গতিশীল শক্তি।

বাংলাদেশের কূটনীতিতে এখন আর সাবেক সময়ের মতো কাঁচা ভাব নেই। কঠিন বিষয় এড়ানোর প্রবণতা থেকেও সরে আসা যাচ্ছে। বরং বর্তমান কূটনীতিকরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসিকতায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন প্রাণশক্তি যোগাচ্ছেন ড. খলিল, পররাষ্ট্রনীতিতে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রেসসচিব

আপডেট সময় ১১:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ভোররাতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তী সরকারের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “অল্প কয়েক মাসেই তিনি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন প্রাণসঞ্চার করেছেন।”

ড. খলিল একজন শান্ত স্বভাবের, পরিশীলিত মানুষ। জাতিসংঘে শীর্ষ পদে কাজ করেছেন, এবং ছিলেন প্রথম বিসিএস ক্যাডার কূটনীতিকদের অন্যতম। যখন তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিলেন, তখন তাঁর সম্পর্কে অনেকেই কম জানতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন দূরদর্শী কূটনীতিক হিসেবে।

শফিকুল আলম বলেন, ড. খলিলের সবচেয়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো। এই উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা কুড়িয়েছে, এমনকি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে একটি কৃতজ্ঞতাসূচক চিঠিও পাঠান।

চীন ও ব্যাংকক সফরে ড. খলিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শফিকুল বলেন, “শাংরি-লা হোটেলের ডিনারে যখন সবাই সুস্বাদু থাই খাবারে ব্যস্ত, তখন খলিল ভাই বাংলাদেশের কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন।” তিনি প্রথমে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এরপর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নৈশভোজ করেন।

যদিও আলোচনা ছিল অনানুষ্ঠানিক, কিন্তু সেখান থেকেই অনেক জমাট ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে, যার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে।

শফিকুল আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দক্ষ কূটনৈতিক টিম কাজ করছে। ইউনূস সাহসী, স্পষ্টবাদী এবং বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।” এই দলে তৌহিদ হোসেনের মতো অকপট চরিত্র ও ড. খলিলের অভিজ্ঞতা মিলে তৈরি হয়েছে এক বাস্তব, গতিশীল শক্তি।

বাংলাদেশের কূটনীতিতে এখন আর সাবেক সময়ের মতো কাঁচা ভাব নেই। কঠিন বিষয় এড়ানোর প্রবণতা থেকেও সরে আসা যাচ্ছে। বরং বর্তমান কূটনীতিকরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসিকতায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করছেন।