ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ: ইউরোপ-আমেরিকা বিভক্তির সঙ্কেত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এখন টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এই বিভক্তিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। ইউরোপের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ আমেরিকাকে শত্রু হিসেবে দেখছেন, যা আগের তুলনায় সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। এতদিন কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতা করা হলেও, এখন পুরো আমেরিকাকেই সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে।

ইউরোপের অনেক প্রতিষ্ঠান আমেরিকায় ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন আমেরিকার পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতেও ইউরোপ ও আমেরিকার অবস্থান স্পষ্টতই আলাদা হয়ে গেছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনের প্রতি সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করেছে, যা আমেরিকার বর্তমান কৌশলের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি করছে।

ইউরোপে নেতৃত্বের প্রশ্নে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও ব্রিটেনের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হয়েছে। ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও তাদের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এখনও শক্তিশালী, ফলে তারা নেতৃত্বের জন্য অন্যতম দাবিদার। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলো চাইছে নিজেদের মধ্য থেকেই একজন শক্তিশালী নেতা বেছে নিতে। এই দ্বন্দ্ব ইউরোপকে আরও বিভক্ত করতে পারে।

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো নতুন রাজনৈতিক বলয় গঠনের পরিকল্পনা করছে। ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলো চীন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, যা আমেরিকার জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। অপরদিকে, আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়া, ইসরাইল, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে আরেকটি জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে রাশিয়া এখনো নিশ্চিত অবস্থান নেয়নি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা মিত্রতার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিনের অংশীদাররা এখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন বাস্তবতায় সঠিক কৌশল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে অনেক দেশই বড় সংকটে পড়তে পারে। বিশ্ব এখন শত্রু-মিত্র নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে ভুল সিদ্ধান্ত মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ: ইউরোপ-আমেরিকা বিভক্তির সঙ্কেত

আপডেট সময় ১০:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

 

বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এখন টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এই বিভক্তিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। ইউরোপের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ আমেরিকাকে শত্রু হিসেবে দেখছেন, যা আগের তুলনায় সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। এতদিন কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতা করা হলেও, এখন পুরো আমেরিকাকেই সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে।

ইউরোপের অনেক প্রতিষ্ঠান আমেরিকায় ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন আমেরিকার পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতেও ইউরোপ ও আমেরিকার অবস্থান স্পষ্টতই আলাদা হয়ে গেছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনের প্রতি সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করেছে, যা আমেরিকার বর্তমান কৌশলের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি করছে।

ইউরোপে নেতৃত্বের প্রশ্নে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও ব্রিটেনের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হয়েছে। ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও তাদের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এখনও শক্তিশালী, ফলে তারা নেতৃত্বের জন্য অন্যতম দাবিদার। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলো চাইছে নিজেদের মধ্য থেকেই একজন শক্তিশালী নেতা বেছে নিতে। এই দ্বন্দ্ব ইউরোপকে আরও বিভক্ত করতে পারে।

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো নতুন রাজনৈতিক বলয় গঠনের পরিকল্পনা করছে। ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলো চীন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, যা আমেরিকার জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। অপরদিকে, আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়া, ইসরাইল, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে আরেকটি জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে রাশিয়া এখনো নিশ্চিত অবস্থান নেয়নি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা মিত্রতার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিনের অংশীদাররা এখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন বাস্তবতায় সঠিক কৌশল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে অনেক দেশই বড় সংকটে পড়তে পারে। বিশ্ব এখন শত্রু-মিত্র নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে ভুল সিদ্ধান্ত মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।