ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করল সরকার পিরোজপুরে ১০ গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রোজা পালন পাবনায় মহাসড়কে গাছ ফেলে ২০টিরও বেশি যানবাহন ডাকাতি, আতঙ্ক জনমনে আগামীকাল দেশব্যাপী উদযাপিত হবে জাতীয় ভোটার দিবস: নির্বাচন কমিশন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীসহ ৯৬ জন অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাই দলের প্রাথমিক তালিকায় থাকছেন নেইমার ও অস্কার ইউরোপ থেকে আমেরিকা – মেসির মনে এমএলএসের খেলার পরিকল্পনা সবসময়ই ছিল ঝিনাইদহে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ৫০ জন আহত, পুলিশ মোতায়েন আবারও বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যাপক সাইদুর রহমান টাঙ্গাইলের নাগরপুরে টমেটো চাষে ব্যাপক সাফল্য, তবে দাম কমে বিপাকে কৃষকরা

খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলা: আহত অন্তত ৭ জন, বিধ্বস্ত একাধিক ভবন

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ আবারও রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় চালানো এ হামলায় একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেইহুবভ জানান, রাশিয়ার আটটি ড্রোন শহরের তিনটি বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রও রয়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এ অঞ্চল নিয়মিত রুশ হামলার শিকার হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিনেইহুবভ বলেন, হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেকহভ জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা সাতজন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে।

হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ৫০ জনের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। চিকিৎসাকর্মীরা আহতদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী কৌশলগতভাবে বেসামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে, যাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যায়। তবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

খারকিভে ক্রমাগত হামলা ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। শহরটি একসময় শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হলেও এখন রাশিয়ার লাগাতার হামলার কারণে এক ভয়াবহ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

হামলার পর খারকিভের বাসিন্দারা আরও বড় ধরনের আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন। রাশিয়ার এমন আগ্রাসন প্রতিহত করতে ইউক্রেন কী কৌশল গ্রহণ করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলা: আহত অন্তত ৭ জন, বিধ্বস্ত একাধিক ভবন

আপডেট সময় ১০:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ আবারও রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় চালানো এ হামলায় একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেইহুবভ জানান, রাশিয়ার আটটি ড্রোন শহরের তিনটি বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রও রয়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এ অঞ্চল নিয়মিত রুশ হামলার শিকার হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিনেইহুবভ বলেন, হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেকহভ জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা সাতজন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে।

হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ৫০ জনের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। চিকিৎসাকর্মীরা আহতদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী কৌশলগতভাবে বেসামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে, যাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যায়। তবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

খারকিভে ক্রমাগত হামলা ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। শহরটি একসময় শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হলেও এখন রাশিয়ার লাগাতার হামলার কারণে এক ভয়াবহ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

হামলার পর খারকিভের বাসিন্দারা আরও বড় ধরনের আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন। রাশিয়ার এমন আগ্রাসন প্রতিহত করতে ইউক্রেন কী কৌশল গ্রহণ করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।