ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ, পুতিনের যুক্তভুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা বহাল এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ডলারের মানহানি মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের বাফুফে ট্রায়ালে প্রবাসী ঝড়: হামজা-শমিতের পর এবার আসলেন আরো ৪৩ ফুটবলার সর্দি কাশি দূর করার ১১টি ঘরোয়া উপায়

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা জোরালো, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের হাত খুলল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যও এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই রায়ের ফলে নিম্ন আদালতের নির্বাহী আদেশ স্থগিত রাখার ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেছে।

হোয়াইট হাউজের ব্রিফিং রুমে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বড় এবং অসাধারণ রায়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি এটিকে সংবিধান, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসনের পক্ষে এক ঐতিহাসিক বিজয় বলে মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথে সবুজ সংকেত মিলেছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশনা আগামী এক মাসের মধ্যে কার্যকর হতে পারবে। তবে যারা এ বিষয়ে মামলা করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কিছুটা প্রভাব সীমিত রাখার সুযোগ পাবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রথা বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছে। তবে অনেক অঙ্গরাজ্য, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলো, এই পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট বলেন, নিম্ন আদালতগুলো চাইলে সীমিত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

ট্রাম্প একে ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রতারণার ওপর কঠোর আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্তভাবে এই নীতির বৈধতা নির্ধারণ করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হলো। অতীতে নিম্ন আদালতের দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন নীতি যেমন বিদেশে সহায়তা কমানো, অভিবাসন সংস্কার, সরকারি কর্মচারী ছাঁটাই কিংবা নির্বাচনী নিয়মে পরিবর্তন আনার মতো উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।

ট্রাম্প বলেছেন, “এখন আমরা সেই নীতিগুলো এগিয়ে নিতে পারব, যেগুলো এতদিন ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।”

অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভবিষ্যতে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট – উভয় দলের প্রেসিডেন্টকেই নীতি বাস্তবায়নে বেশি সময় ও সুযোগ দেবে, যতক্ষণ না বিষয়টি উচ্চ আদালতে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা জোরালো, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের হাত খুলল

আপডেট সময় ১০:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যও এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই রায়ের ফলে নিম্ন আদালতের নির্বাহী আদেশ স্থগিত রাখার ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেছে।

হোয়াইট হাউজের ব্রিফিং রুমে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বড় এবং অসাধারণ রায়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি এটিকে সংবিধান, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসনের পক্ষে এক ঐতিহাসিক বিজয় বলে মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথে সবুজ সংকেত মিলেছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশনা আগামী এক মাসের মধ্যে কার্যকর হতে পারবে। তবে যারা এ বিষয়ে মামলা করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কিছুটা প্রভাব সীমিত রাখার সুযোগ পাবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রথা বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছে। তবে অনেক অঙ্গরাজ্য, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলো, এই পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট বলেন, নিম্ন আদালতগুলো চাইলে সীমিত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

ট্রাম্প একে ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রতারণার ওপর কঠোর আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্তভাবে এই নীতির বৈধতা নির্ধারণ করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হলো। অতীতে নিম্ন আদালতের দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন নীতি যেমন বিদেশে সহায়তা কমানো, অভিবাসন সংস্কার, সরকারি কর্মচারী ছাঁটাই কিংবা নির্বাচনী নিয়মে পরিবর্তন আনার মতো উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।

ট্রাম্প বলেছেন, “এখন আমরা সেই নীতিগুলো এগিয়ে নিতে পারব, যেগুলো এতদিন ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।”

অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভবিষ্যতে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট – উভয় দলের প্রেসিডেন্টকেই নীতি বাস্তবায়নে বেশি সময় ও সুযোগ দেবে, যতক্ষণ না বিষয়টি উচ্চ আদালতে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়।