একসঙ্গে ১২০০ ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া

- আপডেট সময় ০২:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
- / 10
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে একসঙ্গে সবচেয়ে বড় পরিমাণে সেনাসদস্যের মরদেহ ফেরত দিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জুন) রাশিয়া ইউক্রেনকে ১ হাজার ২০০ জন ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটিই অন্যতম বৃহৎ মরদেহ প্রত্যাবাসন। এ মরদেহ হস্তান্তরকে রাশিয়া একতরফা পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সূত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাশিয়া ১ হাজার ২০০ ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে, কিন্তু ইউক্রেন রুশ সেনাদের কোনো মরদেহ ফেরত দেয়নি।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এক কর্মকর্তা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন ৭ জুন হঠাৎ করেই কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর এবং বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।
এই মরদেহ হস্তান্তরের ঘটনাটি ঘটে সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় একটি চুক্তির পরপরই। ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি বিষয়ক সদর দফতর জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্তের কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মরদেহ ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের।
এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেও রাশিয়া আরও ১ হাজার ২১৩টি মরদেহ ফেরত দেয় এবং বিনিময়ে তারা মাত্র ২৭টি রুশ সেনার মরদেহ পেয়েছে।
উভয় দেশই নীতিগতভাবে ৬ হাজার নিহত সেনা এবং যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এই বিনিময়ে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে গুরুতর আহত, অসুস্থ এবং ২৫ বছরের কম বয়সী বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে।
এদিকে, যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় ফ্রন্টলাইনে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ২ বছর বয়সী এক শিশু নিহত এবং তার দাদিসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্লাদকভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ২৬০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করেছে। পাশাপাশি, এক সপ্তাহে তারা ইউক্রেনের ছোড়া একটি নেপচুন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ১৮টি জেডিএএম গাইডেড বোমা, ৯টি মার্কিন হিমার্স রকেট এবং ১ হাজার ৫৮২টি ফিক্সড-উইং ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও যুদ্ধবন্দি ও মরদেহ বিনিময়ের এ ধারা চলমান থাকায় কিছুটা মানবিক আশার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।