যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আজ

- আপডেট সময় ০৫:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / 27
বিশেষ প্রতিবেদক |
ওয়াশিংটন ও লন্ডন সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই চুক্তির পরিসর হবে সীমিত এবং এটি মূলত একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির পূর্বপ্রস্তুতিমূলক কাঠামো হিসেবে কাজ করবে।
গত ২ এপ্রিল ‘লিবারেশন ডে’ হিসেবে ঘোষণা করে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আমদানির ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেন। যদিও আলোচনার পথ খোলা রাখতে বেশ কিছু দেশকে সাময়িকভাবে এই শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হয়। এই শুল্ক আরোপের পর এটিই হবে প্রথম আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, “একটি বড় ও সম্মানিত দেশের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ঘোষণা করা হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই কাঠামোগত চুক্তির বিস্তারিত পরবর্তী আলোচনা থেকে নির্ধারিত হবে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়) ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেবেন।
লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আজ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, ‘আলোচনার গতি সন্তোষজনক এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি আজ কথা বলবেন।’
জানা গেছে, স্টারমার ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন সফরের সময় থেকেই চুক্তিটি নিয়ে সক্রিয় ছিলেন। ট্রাম্পও তাকে ‘কঠিন আলোচক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, “একটি দারুণ চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।”
চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করতে পারে, আর যুক্তরাজ্য ডিজিটাল সার্ভিস কর তুলে নিতে পারে, যা দেশটিতে প্রযুক্তি জায়ান্টদের ওপর প্রযোজ্য।
কিংস কলেজ লন্ডনের অর্থনীতিবিদ জোনাথন পোর্টেস মনে করেন, “এই চুক্তি মূলত ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস। শুল্ক কিছুটা কমলেও ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ থেকে যাবে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প বহুবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রশংসা করেছেন এবং স্কটল্যান্ডে তার পারিবারিক শিকড় ও গলফ রিসোর্ট রয়েছে। স্টারমারের সাম্প্রতিক সফরে ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার রাজকীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে।
চুক্তিটি পূর্ণাঙ্গ না হলেও, এই কাঠামো বৈশ্বিক বাণিজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে, বিশেষ করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সম্ভাব্য নতুন শুল্ক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।
সূত্র: এএফপি