ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ, ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বুধবার, ৩০ এপ্রিল। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং ইউক্রেনের ফার্স্ট ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। খবর রয়টার্স।

এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার পাবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের পুনর্গঠনে যৌথ বিনিয়োগ করবে। এক্সে পোস্ট করা ছবিতে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরের দৃশ্য প্রকাশ পায়।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, এই চুক্তি ‘একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের স্পষ্ট অঙ্গীকার’। ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো তার এক্স পোস্টে জানান, চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেবে এবং এটি নতুন ধরণের সহায়তারও পথ খুলে দিতে পারে বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে।

২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সামরিক সহায়তাকারী দেশ হিসেবে কাজ করে আসছে। জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সবচেয়ে বেশি সামরিক তহবিল সরবরাহ করেছে কিয়েভকে।

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যখন কিয়েভকে সহায়তা করছে, তখন আমাদেরও কিছু পাওয়ার অধিকার রয়েছে।” তিনি জানান, ইউক্রেনের মূল্যবান বিরল মৃত্তিকা খনিজ সম্পদের ওপর এই চুক্তি তার প্রশাসনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে। এই চুক্তিকে অনেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

চুক্তিটি ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, খনিজ শিল্প উন্নয়ন এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তা প্রসঙ্গে এখনও ওয়াশিংটনের তরফ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ, ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেট সময় ১০:০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বুধবার, ৩০ এপ্রিল। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং ইউক্রেনের ফার্স্ট ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। খবর রয়টার্স।

এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার পাবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের পুনর্গঠনে যৌথ বিনিয়োগ করবে। এক্সে পোস্ট করা ছবিতে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরের দৃশ্য প্রকাশ পায়।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, এই চুক্তি ‘একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের স্পষ্ট অঙ্গীকার’। ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো তার এক্স পোস্টে জানান, চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেবে এবং এটি নতুন ধরণের সহায়তারও পথ খুলে দিতে পারে বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে।

২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সামরিক সহায়তাকারী দেশ হিসেবে কাজ করে আসছে। জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সবচেয়ে বেশি সামরিক তহবিল সরবরাহ করেছে কিয়েভকে।

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যখন কিয়েভকে সহায়তা করছে, তখন আমাদেরও কিছু পাওয়ার অধিকার রয়েছে।” তিনি জানান, ইউক্রেনের মূল্যবান বিরল মৃত্তিকা খনিজ সম্পদের ওপর এই চুক্তি তার প্রশাসনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে। এই চুক্তিকে অনেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

চুক্তিটি ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, খনিজ শিল্প উন্নয়ন এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তা প্রসঙ্গে এখনও ওয়াশিংটনের তরফ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।