কাশ্মীর হামলার চরম উত্তেজনায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিল পাকিস্তান

- আপডেট সময় ০৫:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / 20
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান করাচি উপকূলে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হতে পারে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তবে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারান, যাদের অধিকাংশই ছিলেন ভ্রমণপ্রিয় সাধারণ মানুষ। ভারতের দাবি, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি মদদ রয়েছে।
ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে একের পর এক কঠোর কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বাতিল করা হয় ১৯৬০ সালের ইন্দাস জলচুক্তি, বন্ধ করে দেওয়া হয় ওয়াঘা সীমান্তের অ্যাটারি চেকপোস্ট। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ‘সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম’ স্থগিত করা হয় এবং পূর্বে ইস্যুকৃত ভিসাও বাতিল ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় ভিসাধারী পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু’দেশের হাইকমিশনে কর্মরত কূটনীতিক সংখ্যা কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনার, যা কার্যকর হবে ১ মে থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২০ সালের পর এটি হবে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক টানাপড়েন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও উন্নয়নের ধারায় রাজ্য যখন এগিয়ে চলেছে, ঠিক সেই সময় এই হামলা স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র।’
অন্যদিকে, পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সভাপতিত্ব করেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা সদা প্রস্তুত।’
পাকিস্তানের আরেক মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘কেউ যদি মিথ্যা অজুহাতে কোনো ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ চালায়, তবে তার ফল হবে ভয়াবহ।”