ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ১২ জন

- আপডেট সময় ১০:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
- / 16
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের উদ্ধারে উদ্ধারকারী দল নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতের দিকে সানার আল ফারাহ মার্কেটে ভয়াবহ ওই হামলা চালানো হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
হুতি সমর্থিত একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, একই রাতে সৌদি সীমান্তবর্তী সাদা প্রদেশেও মার্কিন সেনারা বিমান হামলা চালিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি বেসামরিক বসতিগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিশুসহ বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই হুদাইদা প্রদেশের রাস ঈসা বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই হামলার পর দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ।
গত মার্চে মার্কিন প্রশাসন ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বৃহৎ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়। সেই থেকেই ধারাবাহিকভাবে চালানো হামলায় এ পর্যন্ত ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি রণক্ষেত্র ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়ও থেমে নেই সহিংসতা। রোববার দিনভর গাজাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৩ জন ফিলিস্তিনি।
নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। সবচেয়ে হতবাক করার বিষয় হচ্ছে—গাজার আল-মাওয়াসির এলাকায়, যেটিকে তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ বলা হয়ে থাকে, সেখানেও বোমা বর্ষণ করেছে দখলদার বাহিনী।
ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলের এই দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি। আহতের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।
এই দুই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়লেও, কার্যকর কোনো শান্তি উদ্যোগ এখনো চোখে পড়ছে না। মানুষের মৃত্যু আর ধ্বংসের এই বৃত্তে আবারও প্রমাণিত হচ্ছে—ক্ষমতার রাজনীতির বলি হয় সাধারণ মানুষ।