চীনের পণ্যে ১২৫% শুল্ক আরোপ, অন্য সব দেশের জন্য ছাড় ঘোষণা ট্রাম্পের

- আপডেট সময় ১০:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
- / 30
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের ওপর আরোপ করা পারস্পারিক শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। বুধবার (৯ এপ্রিল) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এসব দেশে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কার্যক্রমে বিরতি থাকবে। তবে চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বহাল থেকে আরও কঠোর করা হয়েছে যেখানে নতুন হার দাঁড়িয়েছে ১২৫ শতাংশ।
নিজের পোস্টে ট্রাম্প জানান, “চীন যে দায়িত্বহীনভাবে বৈশ্বিক বাজারের নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
তিনি আরও লেখেন, “আশা করি চীন এবং অন্যান্য দেশগুলো শিগগিরই বুঝতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণামূলক আচরণ আর চলবে না। এখন সময় এসেছে ন্যায্য ও স্বচ্ছ বাণিজ্যের পথে হাঁটার।”
ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য, অর্থ এবং ইউএসটিআর বিভাগের সঙ্গে ৭৫টিরও বেশি দেশ ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছে। এদের বেশিরভাগই বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রানীতি এবং অন্যান্য অশুল্ক জটিলতা নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায়।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর বিশ্বব্যাপী শুল্ক প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত মূলত তাদের জন্য পুরস্কারস্বরূপ, যারা বাণিজ্য সংঘাতের মধ্যে থেকেও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, “এই ৯০ দিনের সময়ে আলোচনার নতুন জানালা খুলে গেল। আমরা কানাডা, মেক্সিকোসহ যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় আসতে চায়, তাদের কথাও শুনব।” তিনি আরও জানান, আলোচনায় ইচ্ছুক দেশগুলোর ওপর শুল্ক হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হবে।
এর আগে গত সপ্তাহেই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের ওপর পারস্পারিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে নতুন ঘোষণায় চীন ছাড়া বাকি দেশগুলোকে আলোচনার সুযোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান কিছুটা নমনীয় করল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মহল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অঙ্গনে নতুন গতি আনতে পারে, তবে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে বলেই ধারণা।