ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার, স্বাস্থ্যসেবায় নেওয়া হবে নতুন উদ্যোগ: রিজওয়ানা বিশ্ব বাণিজ্য পথের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের নতুন কৌশল ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে উত্তেজনা, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন মুখ, শপথ নিচ্ছেন অধ্যাপক সি আর আবরার ঈদে ৩ নায়কের বক্স অফিসের লড়াই: শাকিব, নিশো ও সিয়ামের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অভিযুক্ত তাহাব্বুর রানা ভারতে প্রত্যর্পণের পথে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি পতেঙ্গা রিং রোডে পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ১২, মামলা দায়েরঃ রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে জাতিসংঘের প্রতিবেদন কীভাবে সহায়ক হবে? বললেন ফলকার টুর্ক

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন দেশটিতে সত্য উন্মোচন, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ এবং সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

সোমবার (৩ মার্চ) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনে বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ফৌজদারি মামলা ও সংখ্যালঘুদের ওপর প্রতিশোধমূলক সহিংসতার তদন্তে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এই প্রতিবেদন অত্যন্ত সহায়ক হবে।”

ফলকার টুর্ক অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া এক আন্দোলন তৎকালীন সরকার ‘নির্মমভাবে দমন’ করে, যা ব্যাপক সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্ম দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরির পথে রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখবে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে “বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন” শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

এই প্রতিবেদনের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে নতুন সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে বাধ্য করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে জাতিসংঘের প্রতিবেদন কীভাবে সহায়ক হবে? বললেন ফলকার টুর্ক

আপডেট সময় ১১:১৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন দেশটিতে সত্য উন্মোচন, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ এবং সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

সোমবার (৩ মার্চ) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনে বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ফৌজদারি মামলা ও সংখ্যালঘুদের ওপর প্রতিশোধমূলক সহিংসতার তদন্তে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এই প্রতিবেদন অত্যন্ত সহায়ক হবে।”

ফলকার টুর্ক অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া এক আন্দোলন তৎকালীন সরকার ‘নির্মমভাবে দমন’ করে, যা ব্যাপক সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্ম দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরির পথে রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখবে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে “বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন” শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

এই প্রতিবেদনের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে নতুন সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে বাধ্য করবে।