ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

ই/স/রা/য়ে/লের সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের প্রতি ইরানের আহ্বান 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইরান। দেশটি বলেছে, ওয়াশিংটনের একটি সক্রিয় পদক্ষেপই যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ হতে পারে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তাঁর দেশ এখন “বিজয়ের পথে” রয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি ইরানের শহরগুলোতে বোমা হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ইরানের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলোর একটি হলো তাদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করা।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী হন, তাহলে তাঁর কার্যক্রমে সেটির প্রতিফলন ঘটবে।” তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যদি সামরিক আগ্রাসন বন্ধ না করে, তবে আমাদের পাল্টা জবাব চলতেই থাকবে।”

আরাগচি এক পর্যায়ে বলেন, “নেতানিয়াহুর মতো কাউকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোনকলই যথেষ্ট। সেটিই কূটনৈতিক সমাধানের দরজা খুলে দিতে পারে।”

রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, ইরান কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যাতে তিনি ইসরায়েলের ওপর প্রভাব খাটিয়ে দ্রুত যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেন। বিনিময়ে, তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় নমনীয়তা দেখাতে প্রস্তুত থাকবে।

রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে দুটি ইরানি ও তিনটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, ইসরায়েলের একটি বিমান ঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে অগ্রসর হয়েছি। আমরা এখন বিজয়ের পথে। তেহরানের বাসিন্দাদের বলছি সরে যান, কারণ আমরা শিগগিরই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।”

এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আবারও নতুন করে উসকে দিয়েছে। এখন সব চোখ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভূমিকার দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই/স/রা/য়ে/লের সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের প্রতি ইরানের আহ্বান 

আপডেট সময় ১০:০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

 

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইরান। দেশটি বলেছে, ওয়াশিংটনের একটি সক্রিয় পদক্ষেপই যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ হতে পারে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তাঁর দেশ এখন “বিজয়ের পথে” রয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি ইরানের শহরগুলোতে বোমা হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ইরানের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলোর একটি হলো তাদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করা।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী হন, তাহলে তাঁর কার্যক্রমে সেটির প্রতিফলন ঘটবে।” তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যদি সামরিক আগ্রাসন বন্ধ না করে, তবে আমাদের পাল্টা জবাব চলতেই থাকবে।”

আরাগচি এক পর্যায়ে বলেন, “নেতানিয়াহুর মতো কাউকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোনকলই যথেষ্ট। সেটিই কূটনৈতিক সমাধানের দরজা খুলে দিতে পারে।”

রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, ইরান কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যাতে তিনি ইসরায়েলের ওপর প্রভাব খাটিয়ে দ্রুত যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেন। বিনিময়ে, তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় নমনীয়তা দেখাতে প্রস্তুত থাকবে।

রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে দুটি ইরানি ও তিনটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, ইসরায়েলের একটি বিমান ঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে অগ্রসর হয়েছি। আমরা এখন বিজয়ের পথে। তেহরানের বাসিন্দাদের বলছি সরে যান, কারণ আমরা শিগগিরই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।”

এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আবারও নতুন করে উসকে দিয়েছে। এখন সব চোখ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভূমিকার দিকে।