ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাফতার প্রশাসনের পাল্টা সিদ্ধান্ত: তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্র চুক্তিতে যোগদান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

পূর্ব লিবিয়ার নিয়ন্ত্রক হাফতার প্রশাসন অবশেষে তুরস্ক ও লিবিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমুদ্র সীমানা চুক্তিতে অংশগ্রহণে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত হাফতার পক্ষ থেকে এক নাটকীয় অবস্থান পরিবর্তন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

২০১৯ সালে তুরস্ক ও লিবিয়ার জাতীয় ঐক্য সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি তীব্র বিরোধের সৃষ্টি করেছিল। বেনগাজি-ভিত্তিক হাফতার প্রশাসন তখন এই চুক্তি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে তুরস্কের বিরুদ্ধে সামরিক হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, এই সমুদ্র সীমানা চুক্তি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক ও লিবিয়ার মধ্যে সামুদ্রিক এলাকা নির্ধারণ করে, যা অঞ্চলটির শক্তিধর দেশ গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে শুরু থেকেই এই চুক্তি ছিল আলোচিত ও বিতর্কিত।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাফতার প্রশাসন ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠক ও পারস্পরিক সফরের পর কূটনৈতিক বরফ গলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় হাফতার প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসে, যা তুরস্কের সঙ্গে নতুন এক সমঝোতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তিতে হাফতারের সম্মতি তুরস্কের পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় কৌশলে একটি বড় অর্জন। একইসঙ্গে এটি গ্রিস ও ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, কারণ এই পদক্ষেপ তুরস্ককে অঞ্চলটিতে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তুলবে।

হাফতার প্রশাসনের এই ইউ-টার্নকে অনেকেই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখছেন। পরিবর্তিত আঞ্চলিক বাস্তবতা ও সম্ভাব্য লাভজনক সমঝোতার সুযোগ কাজে লাগাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

এখন দেখার বিষয়, এই নতুন সমঝোতা তুরস্ক-লিবিয়া সম্পর্ককে কোন পথে নিয়ে যায় এবং এর প্রভাব কীভাবে পড়ে গোটা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাফতার প্রশাসনের পাল্টা সিদ্ধান্ত: তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্র চুক্তিতে যোগদান

আপডেট সময় ১১:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

পূর্ব লিবিয়ার নিয়ন্ত্রক হাফতার প্রশাসন অবশেষে তুরস্ক ও লিবিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমুদ্র সীমানা চুক্তিতে অংশগ্রহণে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত হাফতার পক্ষ থেকে এক নাটকীয় অবস্থান পরিবর্তন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

২০১৯ সালে তুরস্ক ও লিবিয়ার জাতীয় ঐক্য সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি তীব্র বিরোধের সৃষ্টি করেছিল। বেনগাজি-ভিত্তিক হাফতার প্রশাসন তখন এই চুক্তি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে তুরস্কের বিরুদ্ধে সামরিক হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, এই সমুদ্র সীমানা চুক্তি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক ও লিবিয়ার মধ্যে সামুদ্রিক এলাকা নির্ধারণ করে, যা অঞ্চলটির শক্তিধর দেশ গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে শুরু থেকেই এই চুক্তি ছিল আলোচিত ও বিতর্কিত।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাফতার প্রশাসন ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠক ও পারস্পরিক সফরের পর কূটনৈতিক বরফ গলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় হাফতার প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসে, যা তুরস্কের সঙ্গে নতুন এক সমঝোতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তিতে হাফতারের সম্মতি তুরস্কের পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় কৌশলে একটি বড় অর্জন। একইসঙ্গে এটি গ্রিস ও ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, কারণ এই পদক্ষেপ তুরস্ককে অঞ্চলটিতে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তুলবে।

হাফতার প্রশাসনের এই ইউ-টার্নকে অনেকেই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখছেন। পরিবর্তিত আঞ্চলিক বাস্তবতা ও সম্ভাব্য লাভজনক সমঝোতার সুযোগ কাজে লাগাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

এখন দেখার বিষয়, এই নতুন সমঝোতা তুরস্ক-লিবিয়া সম্পর্ককে কোন পথে নিয়ে যায় এবং এর প্রভাব কীভাবে পড়ে গোটা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে।