ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

যুদ্ধবিরতির পর আকাশসীমা খুললেও পাকিস্তানে ফ্লাইট বিপর্যয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 59

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর শনিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান তার আকাশসীমা পুনরায় চালু করলেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা।

ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দিনভর অন্তত ৩০টি নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে ২৫টি ছিল আন্তর্জাতিক রুটের। এই অবস্থার ফলে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

একই চিত্র দেখা গেছে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। শুধু বড় শহরেই নয়, মুলতান, পেশোয়ার, কোয়েটা, সিয়ালকোট এবং ফয়সালাবাদসহ অন্যান্য ছোট আকারের বিমানবন্দরেও বিলম্ব ও ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।

বিশেষ করে সৌদি আরবে হজযাত্রী পরিবহনকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে বিলম্ব ও বাতিলের সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থায় কাজ করা বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাসির আনসারি বলেন, “এই বাতিলগুলো কেবল রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব নয়, বরং একাধিক কারিগরি এবং পরিচালনাগত জটিলতার ফল।”

তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরগুলোর সমন্বয় ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বিমান সংস্থাগুলোর প্রস্তুতির ঘাটতির কারণেও এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির পর আকাশসীমা চালু হলেও পূর্ণমাত্রায় বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যাত্রীদের অনেকেই জানান, ফ্লাইট বাতিলের পূর্বঘোষণা না থাকায় তারা বিমানবন্দরে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ বিকল্প ফ্লাইটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং বিকল্প ফ্লাইট ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু সাময়িক সমাধান নয় পাকিস্তানের বিমান চলাচল খাতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার এবং আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতির পর আকাশসীমা খুললেও পাকিস্তানে ফ্লাইট বিপর্যয়

আপডেট সময় ০২:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর শনিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান তার আকাশসীমা পুনরায় চালু করলেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা।

ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দিনভর অন্তত ৩০টি নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে ২৫টি ছিল আন্তর্জাতিক রুটের। এই অবস্থার ফলে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

একই চিত্র দেখা গেছে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। শুধু বড় শহরেই নয়, মুলতান, পেশোয়ার, কোয়েটা, সিয়ালকোট এবং ফয়সালাবাদসহ অন্যান্য ছোট আকারের বিমানবন্দরেও বিলম্ব ও ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।

বিশেষ করে সৌদি আরবে হজযাত্রী পরিবহনকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে বিলম্ব ও বাতিলের সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থায় কাজ করা বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাসির আনসারি বলেন, “এই বাতিলগুলো কেবল রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব নয়, বরং একাধিক কারিগরি এবং পরিচালনাগত জটিলতার ফল।”

তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরগুলোর সমন্বয় ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বিমান সংস্থাগুলোর প্রস্তুতির ঘাটতির কারণেও এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির পর আকাশসীমা চালু হলেও পূর্ণমাত্রায় বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যাত্রীদের অনেকেই জানান, ফ্লাইট বাতিলের পূর্বঘোষণা না থাকায় তারা বিমানবন্দরে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ বিকল্প ফ্লাইটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং বিকল্প ফ্লাইট ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু সাময়িক সমাধান নয় পাকিস্তানের বিমান চলাচল খাতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার এবং আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।