ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ভবন ধসে দগ্ধ ৪ সহ আহত ৬ জায়নবাদীদের সঙ্গে কখনোই আপস করবে না ইরান: ট্রাম্পের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের খামেনির প্রতিক্রিয়া হলি আর্টিজান হামলা: ৭ জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ইসরায়েলি হামলায় ৫ দিনে ইরানে নিহত বেড়ে ৫৮৫, আহত সহস্রাধিক বজ্রসহ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ‘আমাদের ধৈর্য্য ভাঙছে’, এরপর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ” চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২০ বাংলাদেশিকে বিএসএফের পুশইন ইসরাইল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়ালে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলার প্রস্তুতি ইরানের: গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের নিখোঁজ পদার্থ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা চলমান উত্তেজনা নিয়ে শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত রাশিয়া, আগ্রহ নেই ইসরায়েলের

শহীদের আত্মত্যাগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঐক্যের ডাক ড. আলী রীয়াজের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরমভাবে দুর্বল করে ফেলেছে এ মন্তব্য করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মত্যাগকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।” তিনি বলেন, এই কাজ কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আলী রীয়াজ আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদ শুধু গণতন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কেবল সরকারের আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক দল ও জনগণের সম্মিলিত চিন্তার ফসল হওয়া উচিত। শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।”

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজে মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে লক্ষ্য এক—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এই প্রক্রিয়ায় সবার ঐক্যের ওপরই নির্ভর করবে আমাদের সাফল্য।”

বৈঠকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “১৬ বছর ধরে মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র, সমাজ ও সংবিধান চাই, যেখানে কেউ শুধু মতাদর্শের কারণে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা শুধু কাগজে নয়, বাস্তবে কার্যকর হবে। একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে কেউ চাইলে স্বৈরাচার হতে না পারে।”

সাইফুল হক আরও বলেন, “বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা দল ইতিমধ্যেই সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ঐকমত্য কমিশনের কাজ সহজ করে দিয়েছে। আমরা আশা করছি, জুনের শুরুতেই ন্যূনতম ঐকমত্য গড়ে উঠবে। অতিরিক্ত জটিলতা তৈরি না করে অন্তত ন্যূনতম ঐক্য গড়ে তোলার দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শহীদের আত্মত্যাগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঐক্যের ডাক ড. আলী রীয়াজের

আপডেট সময় ১২:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরমভাবে দুর্বল করে ফেলেছে এ মন্তব্য করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মত্যাগকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।” তিনি বলেন, এই কাজ কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আলী রীয়াজ আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদ শুধু গণতন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কেবল সরকারের আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক দল ও জনগণের সম্মিলিত চিন্তার ফসল হওয়া উচিত। শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।”

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজে মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে লক্ষ্য এক—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এই প্রক্রিয়ায় সবার ঐক্যের ওপরই নির্ভর করবে আমাদের সাফল্য।”

বৈঠকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “১৬ বছর ধরে মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র, সমাজ ও সংবিধান চাই, যেখানে কেউ শুধু মতাদর্শের কারণে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা শুধু কাগজে নয়, বাস্তবে কার্যকর হবে। একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে কেউ চাইলে স্বৈরাচার হতে না পারে।”

সাইফুল হক আরও বলেন, “বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা দল ইতিমধ্যেই সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ঐকমত্য কমিশনের কাজ সহজ করে দিয়েছে। আমরা আশা করছি, জুনের শুরুতেই ন্যূনতম ঐকমত্য গড়ে উঠবে। অতিরিক্ত জটিলতা তৈরি না করে অন্তত ন্যূনতম ঐক্য গড়ে তোলার দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।