মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ মামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

- আপডেট সময় ০৩:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
- / 1
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণ এবং সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমনসহ চারজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কুমিল্লার আমলী আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিরা হলেন বাহেরচর গ্রামের রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ। মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুমন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন জানান, চার আসামির সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।
এর আগে সোমবার (৩০ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদন করেন। তিনি বলেন, গত রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং পরদিন আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিচারক রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন বৃহস্পতিবার।
পুলিশ জানায়, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে গ্রামবাসী এবং গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনার সময় কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ওই ঘটনায় ২৭ জুন ধর্ষণের অভিযোগে মুরাদনগর থানায় ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ২৯ জুন বিকেলে ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমন ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
সেদিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাদের কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।