ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

মেক্সিকোর একটি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত ৩৮১ মরদেহ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

 

উত্তর মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি বেসরকারি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত অবস্থায় ৩৮১টি মরদেহের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ, যা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। রোববার (২৯ জুন) চিহুয়াহুয়া রাজ্য প্রসিকিউটরের কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের যোগাযোগ সমন্বয়কারী এলয় গার্সিয়া আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, “প্রাথমিকভাবে ৩৮১টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলো এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে।” তিনি বলেন, মৃতদেহগুলো অনিয়মিতভাবে শ্মশানে জমা করা হয়েছিল এবং কোনো প্রকার দাহ করা হয়নি।

গার্সিয়া আরও জানান, শ্মশানের বিভিন্ন কক্ষে মরদেহগুলো একটির ওপর আরেকটি স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। দুর্গন্ধ না ছড়ানোর জন্য এসব মরদেহে সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে, দাহ না করেই মৃতদের আত্মীয়স্বজনকে ছাইয়ের বদলে অন্য কিছু বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, কিছু মরদেহ দুই বছর পর্যন্ত শ্মশানে এভাবেই পড়ে থাকতে পারে। গার্সিয়া এ ঘটনায় শ্মশান পরিচালনাকারীদের অবহেলা এবং চরম দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “যতটুকু মরদেহ প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা আছে, তার বেশি নিলে এমন বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য।”

এ ঘটনায় শ্মশানের একজন প্রশাসক ইতোমধ্যে নিজেকে প্রসিকিউটরদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

তবে উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে কোনোটি অপরাধমূলক সহিংসতার শিকার কিনা, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সহিংসতার কারণে মেক্সিকো দীর্ঘদিন ধরেই ফরেনসিক ব্যবস্থার সংকটে ভুগছে। দেশটির মর্গ এবং শ্মশানগুলোতে স্থান সংকুলান, দক্ষ জনবলের অভাব এবং অর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে এমন ভয়াবহ চিত্র প্রায়ই সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা দেশটির নাজুক ফরেনসিক কাঠামোর দুর্বলতা এবং যথাযথ নজরদারির অভাবকে স্পষ্ট করে তুলেছে।

স্থানীয়রা এমন ঘটনায় বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন, প্রিয়জনের মরদেহকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে এভাবে ফেলে রাখা অত্যন্ত অমানবিক।

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউটরের দপ্তর, যাতে প্রকৃত দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেক্সিকোর একটি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত ৩৮১ মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

উত্তর মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি বেসরকারি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত অবস্থায় ৩৮১টি মরদেহের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ, যা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। রোববার (২৯ জুন) চিহুয়াহুয়া রাজ্য প্রসিকিউটরের কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের যোগাযোগ সমন্বয়কারী এলয় গার্সিয়া আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, “প্রাথমিকভাবে ৩৮১টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলো এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে।” তিনি বলেন, মৃতদেহগুলো অনিয়মিতভাবে শ্মশানে জমা করা হয়েছিল এবং কোনো প্রকার দাহ করা হয়নি।

গার্সিয়া আরও জানান, শ্মশানের বিভিন্ন কক্ষে মরদেহগুলো একটির ওপর আরেকটি স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। দুর্গন্ধ না ছড়ানোর জন্য এসব মরদেহে সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে, দাহ না করেই মৃতদের আত্মীয়স্বজনকে ছাইয়ের বদলে অন্য কিছু বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, কিছু মরদেহ দুই বছর পর্যন্ত শ্মশানে এভাবেই পড়ে থাকতে পারে। গার্সিয়া এ ঘটনায় শ্মশান পরিচালনাকারীদের অবহেলা এবং চরম দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “যতটুকু মরদেহ প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা আছে, তার বেশি নিলে এমন বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য।”

এ ঘটনায় শ্মশানের একজন প্রশাসক ইতোমধ্যে নিজেকে প্রসিকিউটরদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

তবে উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে কোনোটি অপরাধমূলক সহিংসতার শিকার কিনা, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সহিংসতার কারণে মেক্সিকো দীর্ঘদিন ধরেই ফরেনসিক ব্যবস্থার সংকটে ভুগছে। দেশটির মর্গ এবং শ্মশানগুলোতে স্থান সংকুলান, দক্ষ জনবলের অভাব এবং অর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে এমন ভয়াবহ চিত্র প্রায়ই সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা দেশটির নাজুক ফরেনসিক কাঠামোর দুর্বলতা এবং যথাযথ নজরদারির অভাবকে স্পষ্ট করে তুলেছে।

স্থানীয়রা এমন ঘটনায় বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন, প্রিয়জনের মরদেহকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে এভাবে ফেলে রাখা অত্যন্ত অমানবিক।

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউটরের দপ্তর, যাতে প্রকৃত দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।