ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ফ্রান্সজুড়ে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে বিশেষ অভিযান, মোতায়েন ৪ হাজার সদস্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

ফ্রান্সে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে দুই দিনের বিশেষ অভিযান। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো, মানব পাচারকারীদের শনাক্ত এবং অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে দায়বদ্ধতার আওতায় আনা এটাই সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রক্ষণশীল দল লে রিপাবলিকান (এলআর)-এর নেতা ব্রুনো রোতাইয়ো জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১৮ ও ১৯ জুন ফ্রান্সজুড়ে ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও সীমান্ত এলাকায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে পুলিশ, সীমান্ত রক্ষী, জন্দারমেরি ও শুল্ক বিভাগসহ চার হাজারের বেশি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

বিশেষ নজরদারি চলছে উত্তর ফ্রান্সের ক্যালেই ও ডাংকার্ক অঞ্চলের নদীতীর, সড়ক ও ইংলিশ চ্যানেল ঘেঁষা এলাকাগুলোতে। যুক্তরাজ্যে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বাড়ায় এসব এলাকায় তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই এক হাজারের বেশি অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।

এই বিশেষ অভিযান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত আইন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে শুধু অনুপ্রবেশকারীদের আটক নয়, বরং মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়ো সরেজমিনে পরিদর্শনে যান প্যারিসের গার দ্যু নর্দ ট্রেন স্টেশনে। দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের বিশেষ করে বাংলাদেশি ও শ্রীলঙ্কান উপস্থিতি এ এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি। ইউরোস্টার ট্রেন যুক্তরাজ্য থেকে এসেই এই স্টেশনে থামে, ফলে এটি নজরদারির অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বড় শহরগুলো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত রেলপথ ও যানবাহন চলাচলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এর আগেও গত ২০ ও ২১ মে অনুরূপ এক অভিযানে ৭৫০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনুপ্রবেশকারীদের আটক হার ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ব্রুনো রোতাইয়ো বলেন, “ফ্রান্সে যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন, তাদের এখানে থাকার কোনো অধিকার নেই। সীমান্তে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে এবং বিশেষ ‘সীমান্ত ফোর্স’ মোতায়েন রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ব্রুনো রোতাইয়ো সম্প্রতি এলআর–এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফ্রান্সজুড়ে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে বিশেষ অভিযান, মোতায়েন ৪ হাজার সদস্য

আপডেট সময় ০১:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

ফ্রান্সে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে দুই দিনের বিশেষ অভিযান। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো, মানব পাচারকারীদের শনাক্ত এবং অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে দায়বদ্ধতার আওতায় আনা এটাই সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রক্ষণশীল দল লে রিপাবলিকান (এলআর)-এর নেতা ব্রুনো রোতাইয়ো জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১৮ ও ১৯ জুন ফ্রান্সজুড়ে ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও সীমান্ত এলাকায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে পুলিশ, সীমান্ত রক্ষী, জন্দারমেরি ও শুল্ক বিভাগসহ চার হাজারের বেশি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

বিশেষ নজরদারি চলছে উত্তর ফ্রান্সের ক্যালেই ও ডাংকার্ক অঞ্চলের নদীতীর, সড়ক ও ইংলিশ চ্যানেল ঘেঁষা এলাকাগুলোতে। যুক্তরাজ্যে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বাড়ায় এসব এলাকায় তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই এক হাজারের বেশি অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।

এই বিশেষ অভিযান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত আইন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে শুধু অনুপ্রবেশকারীদের আটক নয়, বরং মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়ো সরেজমিনে পরিদর্শনে যান প্যারিসের গার দ্যু নর্দ ট্রেন স্টেশনে। দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের বিশেষ করে বাংলাদেশি ও শ্রীলঙ্কান উপস্থিতি এ এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি। ইউরোস্টার ট্রেন যুক্তরাজ্য থেকে এসেই এই স্টেশনে থামে, ফলে এটি নজরদারির অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বড় শহরগুলো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত রেলপথ ও যানবাহন চলাচলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এর আগেও গত ২০ ও ২১ মে অনুরূপ এক অভিযানে ৭৫০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনুপ্রবেশকারীদের আটক হার ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ব্রুনো রোতাইয়ো বলেন, “ফ্রান্সে যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন, তাদের এখানে থাকার কোনো অধিকার নেই। সীমান্তে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে এবং বিশেষ ‘সীমান্ত ফোর্স’ মোতায়েন রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ব্রুনো রোতাইয়ো সম্প্রতি এলআর–এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।